নরসিংদী প্রতিনিধি:
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে করোনাক্রান্ত ব্যক্তিদ্বারা কোভিড-১৯ এর স্যাম্পল সংগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে। এই হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিষ্ট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এর বিরোদ্ধে।
হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা যায়, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভভাব শুরু হলে স্যাম্পল সংগ্রহের জন্য প্রাথমিকভাবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ পায় মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নামে এক যুবক। পরবর্তীতে প্রায় এক বছর পূর্বে সরকারী একটি আদেশে তাকে সরকারের আওতায় নেয়া হয়।
সূত্রটি জানায়, এই ল্যাব টেকনোলজিষ্ট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর একাধিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎিসা গ্রহণ করে। কেউ কেউ বলছেন তিনি তিনবারের মতো কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। আর শেষ পর্যন্ত তিনি ঈদের আগেও করোনার নমুনা পরীক্ষা জমা দিয়েছেন। এঅবস্থায় কোরবানীর ঈদের পরদিন অর্থাৎ ২২ জুলাই সকাল থেকে তিনি একাই নমুনা সংগ্রহ করেছেন। আরটিপিসিআর ও এন্টিজেন্ট এ দুই পরীক্ষাইর নমুনাই তিনি একা সংগ্রহ করেছেন। তবে লোকবল ঈদের জন্য কম থাকায় তিনি এই স্যাম্পল সংগ্রহ করেছেন বলে জানান।
ঘটনার বিষয়ে হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো: মিজানুর রহমান জানান, জাহাঙ্গীর করোনাক্রান্ত ছিলো এই কথা বলে তিনি জানান, অনেকেই আক্রান্ত, এছাড়া লোকবলের অভাব, এরমধ্যে সেবাতো দিতে হবে। শুধু তাই নয়, এই হাসপাতালে ৮০ জন কোভিড রোগী ভর্তি করার কথা কিন্তু ভর্তি করা হয়েছে ৯৫জন। আর একদিন পার হলেই এই তালিকা হয়ে যাবে একশোর উপরে। এই যখন অবস্থা তখন হাসপাতালে নার্স ও চিকিৎসকের স্বল্পতা নিয়ে কিভাবে সেবা দেয়া দেবো তাই নিয়ে পাগল হয়ে যাওয়ার অবস্থা।
এবিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: শীতল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার নম্বারে কল দিলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিপ্ট করেননি।
এবিষয়ে নরসিংদী সিভিল সার্জন ডা: মো: নুরুল ইসলাম জানান, জাহাঙ্গীর আগে কোভিডে আত্রান্ত ছিলো এটা সত্য। বর্তমানে সে পুনরায় পরীক্ষা করিয়েছে। কিন্তু তার শরীরে করোনার জীবানুর লক্ষন না থাকায় তাকে স্যাম্পল সংগ্রহ করতে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমি জানি। আর কদিন পর অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হবে তখন কে স্যাম্পল সংগ্রহ করবে।
তবে সচেতন মহলের অভিমত জেলার একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্যাম্পল সংগ্রহের জন্য মাত্র একজন লোক থাকবে আর বাকীরা ছুটিতে থাকবে এটা হতে পারেনা। যেখানে এই করোনাকালীন সরকারী চিকিৎসার সাথে জড়িত সকলের ছুটি বাতিল করে দিয়েছে সরকার, সেখানে করোনার এই তীব্রতার সময়ে স্যাম্পল সংগ্রহের কাজে মাত্র একজন ল্যাব টেকনোলজিস্ট থাকবে এটা হতে পারেনা। তাই এই ব্যক্তির দ্বারা কেউ করোনা আক্রান্ত হলে এর দায় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।