নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-( মাধবদী- নরসিংদী প্রতিনিধি)
জনপ্রতি ২৬০ টাকা করে পারিশ্রমিক পেয়ে মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যালের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন কুচক্রী মহল।মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে মুফতি হাবিবুল্লাহর ছবিতে জুতাঘাত সহ তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে পাইকারচর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
নরসিংদী সদর উপজেলা পাইকারচর ইউনিয়নস্থ চরভাসানিয়া গ্রামে অবস্থিত সুবিশাল ইসলামি বিদ্যাপিঠ “জামিয়া মুহাম্মাদিয়া ও এতিমখানার” অধ্যক্ষ মুফতি হাবিবুল্লাহকে অপমান করার প্রতিবাদে মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেন।
০৮-ই জুলাই সোমবার বিকাল ৫ঃ৪৫ টায় জামিয়া মুহাম্মাদিয়া ও এতিমখানা মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অত্র মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মুফতি আনোয়ার হোসেন বলেন,গত ০৫-ই জুলাই শুক্রবার কওমি মাদ্রাসা বিরোধী কিছু কুচক্রী মহল,মানববন্ধনের নামে আমাদের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্টের উদ্দেশ্য অধ্যক্ষ মুফতি হাবিবুল্লাহর ছবিতে অপমান ও মানহানিমূলক যে আচরণ করেছে,তাতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে,একজন সম্মানি মানুষের বিরুদ্ধে প্রমানব্যাতীত যে অভিযোগ আনা হয়েছে,এতে আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ সময় অত্র মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র কামরুল ইসলাম বলেন,আমাদের সম্মানিত ওস্তাদের ছবিতে যে অপমানজনক আচরণ করা হয়েছে,এটার বিরুদ্ধে আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই,একজন সম্মানি মানুষকে মানহানি করার অভিযোগে,প্রথমেই মহান আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম,তার জন্য যদি হেদায়েত লেখা থাকে যেন তাকে হেদায়াত দান করেন,না লেখা থাকলে যেন এর বিচার করেন, তারপর বলতে চাই, মানহানি করার অভিযোগে যেন উক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়।
মুঠোফোনে অধ্যক্ষ মুফতি হাবিবুল্লাহ আমাদের জানান,অত্র জামিয়ায় আমি বিগত ১৪ বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছি,মাদ্রাসার উন্নতি করনের জন্য আমি আমার মেধা ও শ্রম ব্যয় করে নরসিংদী জেলার মধ্যে সুনামধন্য মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত করতে পেরেছি,এ সুনামটাই অনেকের হিংসার কারন হয়ে দাড়িয়েছে,যার ফলে এ মাদ্রাসার সুনাম নষ্টের উদ্দেশ্য কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন সময় ইস্যু দাড় করিয়ে মানববন্ধনের নামে মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করছে।তাঁরা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণই মিথ্যা ও বানোয়াট, যাচাই করে যদি কোনো অভিযোগের একটারও সত্যতার প্রমান করতে পারে আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হবে আমি তা মাথা পেতে নেব।
মাদ্রাসার প্রধান নির্বাহি পরিচালক ডা. এবিএম মাহাবুব রহমান আমাদের জানান,আমার বাবা মরহুম ইঞ্জিনিয়ার নুর রহমান প্রতিষ্ঠিত এ ইসলামিক বিদ্যাপিঠটি সুনামের সহিত চলে আসছিলো,কিন্তু ইদানীং কিছু কুচক্রী মহল মাদ্রাসার সুনাম নষ্টের উদ্দেশ্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু দাঁড় করিয়ে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন করছে,আমি আরো জানাতে চাই যে,অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ সাহেব অত্যন্ত দক্ষ একজন লোক, এ যাবৎ কালে আমাদের সেরা একজন অধ্যক্ষ ওনি, ওনি আসার পর থেকে মাদ্রাসা অনেকটাই উন্নতি হয়েছে,ওনি ইচ্ছেকৃত ভাবেই আমাদের মাদ্রসা থেকে চলে যেতে চান কিন্তু আমাদের মাদ্রসার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা তাঁকে রিকুয়েষ্ট করে রাখছি,যে সকল কুচক্রী মহল বলছে যে,অধ্যক্ষ জোর করে থাকতে চাইছে,এটা তাঁদের ভুল ধারণা,যদি কেও মুফতি হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রমান আমাদের দেখাতে পারেন তাহলে আমরা অধ্যক্ষের ব্যাপারে যথাযত ব্যাবস্থা নেব ।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইঞ্জিনিয়ার নুর রহমান সাহেবের আরেক পুত্র মাসুদুর রহমান জানান,অধ্যক্ষ সম্পর্কে যে দুর্নিতীর অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর কোনো প্রমান নেই, যদি অভিযোগগুলোর সত্যতার প্রমান হয় তাঁর যথাযথ ব্যবস্থা নেবে মাদ্রাসা কমিটি,কিন্তু প্রমান ব্যাতীত একজন মানুষকে এভাবে হেয় করা এটা ঠিক হচ্ছে না এতে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।