মাধবদী প্রতিনিধি :
নরসিংদীর মাধবদীতে বৈদ্যূতিক খুঁটির নিচে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি শিল্পপ্রতিষ্ঠান।ঘটতে পারে প্রাণহানীর মত বড় কোন দূর্ঘটনা।
দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে আবাসিক এলাকাগুলো ঘণবসতি হয়ে উঠেছে।
ফলে সময়ের প্রয়োজনে বসবাসের তাগিদে আবাদি জমিতে গড়ে উঠছে এসব বসতবাড়ি ও মিল কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠাণ।
বসতবাড়ি নির্মাণে এমন ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্বাচনের বিষয়টি চোঁখে পড়ে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার আমদিয়া ইউনিয়নের কান্দাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকা,তার পার্শ্ববর্তী আশোহাট এলাকা, সাতগ্রাম এলাকা, মাধবদী থানা এলাকার ভগীরথপুর, ফুলতলা, হোসেনবাজার সহ অনেক জায়গায়।
দেখা গেছে এসব স্থানে কোথাও কোথাও ভূমি মালিকগণ তার ভূমিতে ১৩২ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন চার’পা বিশিষ্ট বৈদ্যূতিক খুঁটির নিচে অথবা খুঁটির পাশে গড়ে তোলেছে তাদের বসতবাড়ী সহ শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
যা,মানব জীবনের জন্য অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে। কারন, এই চার’পা বিশিষ্ট খুঁটি হয়ে টানা তারে(ক্যাবল) নেই কোন নিরাপত্বা কভার। ফলে যে কোন সময় খুঁটি ভেঙ্গে গেলে অথবা তার(ক্যাবল) ছিঁড়ে গেলে তা সেসব বসত বাড়ির উপর বৈদ্যূতিক শক সার্কিটের দ্বারা দূর্ঘটনার সৃষ্টি করবে।
আর এই ঝুঁকির সবচেয়ে বেশী আশংকা থাকে কালবৈশাখী ঝড় তুফানের দিনগুলিতে। ঝড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়া বা খুঁটি ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনায়।
এদিকে, বিদ্যূৎ কর্তৃপক্ষ প্রতিটি বৈদ্যূতিক খুঁটিতে বিপদজনক নোটিশ ঝুলিয়ে এসব খুঁটিতে চড়ে তারের (ক্যাবল) সংস্পর্শে যাওয়া বা খুঁটির নিচে বসে আড্ডা মারা এসবে নিষেধাজ্ঞা দেয়া সত্বেও বসতবাড়ি গড়ার ক্ষেত্রে কেউ আছেন এ বিষয়ে অবগত হয়েও অন্য কোথাও জমির ব্যাবস্থা করতে না পেরে বাধ্য হয়েই এই ঝুঁকি মেনে নিচ্ছেন। আবার কেউ আছেন যিনি এর ঝুঁকির মাত্রা সম্পর্কে অবগত না হওয়ায় এমনটি করছেন।
ঝুঁকি মেনে নেওয়ার পিছনে আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল জমির উপর দিয়ে বৈদ্যূতিক খুঁটি ও তার(ক্যাবল) বয়ে চলার কারণে এসব জমি বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে দাম কয়েকগুন কম এবং ক্রেতাদেরও খরিদের ক্ষেত্রে নেই কোন আগ্রহ। ফলে জমির মালিক এই জমিকে না পারে বিক্রী করতে, না পারে একজন গৃহস্থের কাছে মূল্যবান এই জমিকে ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যেতে।
জানাগেছে, প্রায় ৩ বছর পূর্বে আমদিয়া ইউনিয়নের কান্দাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে একইদিনে একই সারির ৩টি চার’পা বিশিষ্ট বিদ্যূৎ খুঁটি ধুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে পড়ে। যার তার গিয়ে পড়ে স্থানীয় হজরত আলী ভূইয়ার গড়া নতুন বসত বাড়ির উপর। তবে ঝড়ের আভাসে বিদ্যূৎ না থাকায় সেদিন কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তবে,জননিরাপত্তা আর মারাক্তক কোন দূর্ঘটনা ঘটার আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া জরুরী।