সুমন পালঃ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সমগ্র দেশের ন্যায় নরসিংদীতেও ১সেপ্টেম্বর থেকে জেলার ৪৯টি পয়েন্টে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি শুরু করা হয়েছে। নরসিংদী’র জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান প্রধান অতিথি হিসেবে নরসিংদী শহরের শিক্ষা চত্বর পয়েন্টে খোলা বাজারে চাল বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ মোস্তফা মনোয়ার এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নরসিংদী পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হুমায়ুন কবির, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী মোর্শেদ ও ঢাকা থেকে আগত ভোক্তা অধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা । এসময় জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, খাদ্যশস্য বিক্রিতে কোন ডিলার সামান্যতম অনিয়ম করলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এর আগে নরসিংদী’র জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান গত বুধবার(৩১আগস্ট)জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ খাদ্যশস্য বিক্রির বিস্তারিত বর্ণনা দেন। প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নরসিংদী জেলায় একযোগে ৪৯ টি দোকানের মাধ্যমে ৩০টাকা কেজি হারে ওএমএস চাল বিক্রি করা হবে। সেখানে প্রতি পরিবারের পক্ষে একজন লোক প্রতি মাসে ৫ কেজি করে দুই বার ১০ কেজি ওএমএস চাল ক্রয় করতে পারবে। এছাড়াও, শ্রমঘন নরসিংদী জেলায় ১৫টি দোকানের মাধ্যমে ১৮টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করা হবে।এবারের ওএমএস চাল ও আটা বিক্রয় কার্যক্রমের আওতায় সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি টিসিবি’র কার্ডধারীরাও চাল ও আটা ক্রয় করতে পারবে। ওএমএস কার্যক্রমে প্রতিদিন একজন ডিলার ০২টন চাল বরাদ্দ পাবে। কোন লাইনে ক্রেতা থাকা অবস্থায় ডিলারের জন্য বরাদ্দকৃত চাল শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী দিন ক্রেতাদের আসার অনুরোধ জানানো হবে। ওএমএস কার্যক্রমের পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও চলমান থাকবে। ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় নরসিংদী জেলায় ৬২,৯৫৮ জন ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতিমাসে সর্বোচ্চ দুইবার চাল ক্রয় করতে পারবে। উল্লেখ্য, পূর্বে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আওতায় ১০টাকা দরে চাল বিক্রয় হলেও সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে বর্তমানে পনেরো টাকা কেজি দরে এ চাল বিক্রয় হবে। এ কার্যক্রমের আওতায় সারা দেশে সর্বমোট ২,৩৬৩ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১,৯৬০ টি কেন্দ্রে শুধু চাল এবং ৪০৩ টি কেন্দ্রে চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রম আগামী তিন মাস ব্যাপী অর্থাৎ সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর চলমান থাকবে। প্রতি সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার ব্যাতীত ০৫ দিন এবং মাসে সর্বোচ্চ ২২ দিন চাল ও আটা বিক্রি করা হবে। ওএমএস কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ও উপজজেলা প্রশাসন কর্তৃক ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে যারা মাঠ পর্যায়ে ওএমএস চাল বিক্রি মনিটরিং করবেন।