1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narsingdir Awaaz : Narsingdir Awaaz
শিরোনাম : :
মহিষাশুড়া ইউনিয়ন ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল  আমরা মাধবদীবাসী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে ঈদ উপহার বিতরণ নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  মানব কল্যান সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা মাধবদীর মেহেরপাড়ায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত জাগ্রত টেক্সটাইল ব্যবসায়ী ও জনতার আয়োজনে ইফতার মাহফিল মাধবদীতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  গাঁজায় ও ভারতে মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল মাধবদীতে জমি নিয়ে আনন্দী গ্রামে মারধর

লাল শাপলায় রঙিন রাবানের বিল

  • আপডেট সময়: রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৩২৭ জন দেখেছেন

শরীফ ইকবাল রাসেল:
শীতের শিশিরে ভেজা লাল শাপলা ভোরের সূর্যের সোনালী আভায় দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে মানুষের। নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার রাবানের বিলগুলোতে এখন লাল শাপলার ছড়াছড়ি। বিলের যেদিকেই চোখ যায় মনে হয় পাতানো রয়েছে লাল গালিচা।
প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্য্যকে উপভোগ করতে বিলগুলোতে বেড়াতে আসছেন শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সের মানুষ। পলাশ উপজেলার রাবান, চামরাবো, কুড়াইতলী বিল সহ আশপাশের কয়েকটি বিলে এখন রঙিন হয়ে আছে লাল শাপলায়।
স্থানীয়রা জানান, আগে এসব বিলে সাদা-সবুজ শাপলা হলেও ধীরে ধীরে সাদা শাপলা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন শুধুই লাল শাপলা ফোটে। এসব বিল সাধারণত এক ফসলি জমি। বোরো মৌসুমেই শুধুমাত্র ধান চাষ করেন কৃষকেরা। এরপর জমিতে বর্ষার পানি এসে যায়। বিলগুলো বছরের ৬ মাস তলিয়ে থাকায় কোনো কাজ থাকে না এলাকাবাসীর। আর তাই এসব জমিতে প্রতিবছর প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় লাল শাপলা। চারদিক লালে লালে একাকার হয়ে যায়।
দেখা যায়, এ অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ভোর থেকেই বিলগুলোতে ছুটে আসছেন নানা বয়সের দর্শনার্থী। নৌকায় করে ঘুরে ঘুরে সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন তারা। অনেকেই প্রিয় মূহূর্তগুলোকে বন্দি করছেন ক্যামেরা বা মোবাইল ফোনে। অনেকের কাছেই এমন দৃশ্য এক অভূতপূর্ব। এ সৌন্দর্য্য আগত পর্যটকদের ভরিয়ে দিচ্ছে মন ও প্রাণ।
এই সুযোগে বিলে বিলে নৌকা চালানোর আয়ে স্থানীয় অনেকেরই সংসার চলছে। সামান্য কিছু টাকা পেলেই খুশি তারা। হাসিমুখে নৌকায় চড়িয়ে ঘুরিয়ে আনছেন বিল। আবার শাপলা তুলে বিক্রি করেও আয় করছেন অনেকে।
বিল ঘুরে দেখার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে নৌকার। বিলে বেড়াতে আসা পর্যটক কবির হোসেন শাহানাজ বেগম, বিকাশ ও অয়ন দাস জানালেন, শাপলার বিলের অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখে তারা বিমোহিত। এতে কিছু সময়ের জন্য তারা প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলেন। এ দৃশ্য উপভোগ করতে আসা উচিত ভ্রমণ পিপাসুদের।
স্থানীয় এক কৃষক হরবজন দাস জানান, জিনারদী ইউনিয়নের রাবান কুড়াইতলী, চামরাবোসহ বিভিন্ন এলাকায় সর্বত্রই লাল শাপলায় ভরে রয়েছে। এই শাপলা দেখতে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অসংখ্য লোকজন ছুটে আসেন। শুধু পলাশ নয়, নরসিংদী, কালীগঞ্জ, কাপাশিয়া, নারায়নগঞ্জসহ গাজীপুর থেকেও লোকজন শাপলা দেখতে আসেন। আবার অনেকেই ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী সহ স্বপরিবারে চলে আসেন। এখানে এসে কেউ ক্যামেরায় আবার কেউ কেউ মোবাইলে ছবি তুলে নিয়ে যান।
নরসিংদী শহর থেকে লাল শাপলা দেখতে আসা কলেজ ছাত্রী আলিয়ানা আরিনা জানায়, আমরা বইয়ে পড়েছি শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। কিন্তু চোখে দেখা হয়না। আর একটি ফেইজবুকের মাধ্যমে খোজ পেলাম রাবানের লাল শাপলার। তাই দেখতে চলে এলাম।
শিবপুরের কারারচর থেকে মাসুম নামে এক যুবক লাল শাপলা দেখতে এসে অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, বইয়ে পড়েছি শাপলা জাতীয় ফুল। দু-এক জায়গায় দেখেছিও। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাবানের লাল শাপলার খোজ পেয়ে দেখতে এলাম। খুব ভালো লাগলো। মনটা জুড়িয়ে গেলো। সারাদিনই বিলের ধারে বসে থাকতে ইচ্ছে করছে। তবে সকালের সূর্য উঠার সময়ের দৃশ্যটা দেখতে পারলে আরো ভালো লাগতো।
পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ও সোমেন চন্দ পাঠাগারের সভাপতি শহিদুল হক সুমন বলেন, দুর দুরান্ত থেকে লাল শাপলা দেখতে এসে আরো বেশ কয়েকটি নিদর্শন দেখে যেতে পারেন দর্শনার্থীরা। এগুলো হলো, ঘোড়াশাল মিয়াবাড়ি, ঘোড়াশাল শীতলক্ষা নদীর উপড় তিনটি ব্রিজ, ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি, মাধবদীর বালাপুরের জমিদারের বাড়ি, পারুলিয়া দরগা মসজিদ ও শরীফ খান এর মাজার যেখানে রাজা নগর নরসিংহ রায়ের আধি নগর ছিলো।
এবিষয়ে নরসিংদী জেলা স্কুল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নরসিংদী ইনডিপেনডেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি বিল রয়েছে। এসব বিলে লাল শাপলা ফুটলে এক মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শাপলার বিল দেখতে শুধু পলাশ নয়, আশপাশের জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা আসছেন। এখানে বাড়তি সুবিধা সৃষ্টি করা হলে পর্যটকদের জন্য সহায়ক হবে।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ নরসিংদীর আওয়াজ
Site Customized By Rahat IT Ltd.