সুমন পালঃ মনোহরদীতে “ফ্যামিলি মার্চ” নামে দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি। গত ৬নভেম্বর গভীর রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। মনোহরদী থানায় মামলা সূত্রে জানাযায়, হাতিরদিয়া বাজারে মোঃ জাকির হোসেন এর মালিকানাধীন “ফ্যামিলি মার্চ” নামে দোকান রয়েছে। উক্ত দোকানে মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইলের ফ্লেক্সি লোডের, স্ক্যাচ কার্ডের এবং কনফেকশনারী / স্ট্যাশনারী মাল ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করেন। ঘটনার রাতে সাইফুল ও কর্মচারী রিফাত দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। পরদিন ইং ০৭ নভেম্বর দোকানের কর্মচারী রিফাত দোকানে এসে ভিতরে ঢুকে দেখে কাগজ পত্র ও বিভিন্ন মালামাল মেঝেতে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে, মেঝেতে মশা মারার একটি কয়েল নিভানো এবং কৌটার মধ্যে প্রশ্রাব, চালের ঢেউ টিন কাটা এবং ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা মূল্যমানের মোবাইলের বিভিন্ন কোম্পানীর ক্যাচ কার্ড, ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ০১৮২২-০৫১৬৯৫, ০১৯৪১-৮৫৪৪৬৫ সিম নাম্বার সমৃদ্ধ একটি ট্যাব যাহার আনুমানিক মূল্য ৫,০০০/- টাকা এবং ০১৭২০৭৭৭১৩০ ও ১১৭১৪২৬৫৫৫৭ সিম নাম্বার সমৃদ্ধ স্যামসাং মোবাইল সেট মূল্য আনুমানিক ১,৫০০/- টাকা, অনুমান ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন নামের সিগারেট, অনুমান ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন নামের পারফিউম ইত্যাদি নিয়া যায়। উপরোক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনায় ডিবি নরসিংদী জেলা ছায়া তদন্ত শুরু করে। নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাসার পিপিএম-বার নের্তৃত্বে এসআই (নিঃ)নঈমুল ইসলাম মোস্তাক, এসআই (নিঃ) সফি উদ্দিন ,এএসআই (নিঃ) রাহুল মজুমদার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), নরসিংদী সর্ঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ইং ০৮ নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে মামলার ঘটনায় জড়িত আসামী ১। মোঃ আল আমিন (২৫), পিতা-মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার করেন। আসামীর হেফাজত হইতে বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট ৪৭ প্যাকেট, ০১টি চোরাইকৃত মোবাইল সেট ও ০১টি ট্যাব ,বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল রিচার্জ কার্ড,টিন কাটার কাচি,চুরি যাওয়া-২৫১০/-টাকা উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় মনোহরদী থানার মামলা নং-০৬। আরো জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আল আমিন জানায় নরসিংদী এর পলাশ থানার মামলা নং-০২, তারিখ- ০৫/০৬/২০১২, ধারা- ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড এ সে ০৩ বছর সাজা খেটে নরসিংদী জেলখানা হতে ২০২১ সালে মুক্তি লাভ করে।