নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নরসিংদীতে এসটিসি ব্রিকফিল্ডের মালিক মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চোরাইকৃত ট্রান্সফরমার দিয়ে পুনঃ বৈদ্যুতিক সংযোগের আবেদন করার অভিযোগ উঠেছে।
মোঃ রফিকুল ইসলাম তালতলী সাব-জোনাল অফিসের আওতাধীন পলাশ খানার জিনারদী ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকার শিল্প গ্রাহক মেসার্স ষ্টার ট্রেডিং করপোরেশন ইট ভাটার মালিক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,গত ৩ অক্টোবর রাতের কোন এক সময়ে জিনারদী ইউনিয়নের মাঝেরচর গ্রামের শিল্প গ্রাহক মেসার্স ষ্টার ট্রেডিং করপোরেশন এর ক্রয়কৃত (জি-৫, ১৫কেভিএ) কনফিডেন্স কোম্পানির তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়।যার সিরিয়াল নং- G5-2015-15-078700 G5-2015-15-0788 G5-2015-15-0789.
পরে ইটভাটার মালিক রফিকুল ইসলাম বিষয়টি তালতলী জোনাল অফিসকে অবগত করেন । পরে বিষয়টি তদন্ত করে তারা ০৪ অক্টোবর ২০২৩খ্রিঃ এ ব্যাপারে পলাশ থানায় একটি এফ আই আর নথিভুক্ত করার আবেদন করেন।
কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই মেসার্স স্টার ট্রেডিং কর্পোরেশন চোরাইকৃত ট্রান্সফরমার তিনটি মাধবদীতে মোঃ শুক্কুর আলীর মালিকানাধীন পাওয়ার প্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং হতে মেরামত করে পুনরায় সংযোগের আবেদন করেন।
চোরাইকৃত ট্রান্সফরমার দিয়ে পুনরায় বৈদ্যুতিক সংযোগের আবেদন পেয়ে তালতলী জোনাল অফিসের কর্মকর্তারা নড়ে চড়ে বসেন। কিভাবে চোরাইকৃত ট্রান্সফরমার পুনরায় মালিকের কাছে আসলো এবং তারা তা মেরামত করে আবার সংযোগের আবেদন করলো এ নিয়ে তারা কিংকর্তব্যবিমুর হয়ে পড়ে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সদর অফিসে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন তারা।
বর্তমানে এ রহস্যজনক চুরি ও চোরাইকৃত ট্রান্সফরমার মেরামত নিয়ে পুরো এলাকা জুড়ে ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইছে।
এ বিষয়ে তালতলী জোনাল অফিসের এজিএম কনক হোসেন এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইটভাটা মালিকের কাছ থেকে তিনটি ট্রান্সফরমার চুরির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে
পলাশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
কিন্তু পরবর্তীতে চোরাইকৃত ট্রান্সফরমার কিভাবে তাদের কাছে এলো বা কোন আইনের ধারায় সেই ট্রান্সফরমার মেরামত করিয়ে পুনঃ সংযোগের আবেদন করলো তা আমার বোধগম্য নয়।
এব্যাপারে জানতে মাঝেরচর এসটিসি ইটভাটায় গিয়ে ভাটা মালিককে পাওয়া যায়নি। পরে একাধিকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি বার বার লাইন কেটে দেওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।