মুহাম্মদ মুছা মিয়া, মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর মাধবদীতে অবস্থিত নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর আওতাধীন তালতলী সাব জোনাল অফিস এলাকার মাঝেরচর গ্রামের মেসার্স স্টার ট্রেডিং কর্পোরেশনের নিজ অর্থায়নে ক্রয়কৃত তিনটি ট্রান্সফরমার স্থাপনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গ্রাহককে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় গত ৩ অক্টোবর রাতে মেসার্স স্টার ট্রেডিং কর্পোরেশনের নিজ অর্থায়নে ক্রয়কৃত তিনটি ট্রান্সফরমারের ভিতরের কিছু অংশ কে বা কাহারা চুরি করে নিয়ে যায় এবং ট্রান্সফরমারের ট্যাংকসহ ভিতরের কিছু অংশ ফেলে রেখে যায়। সকাল বেলা প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা ঘটনা দেখতে পেয়ে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর আওতাধীন তালতলী সাব জোনাল অফিসকে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করেন যে ট্রান্সফরমার এর ভিতরের কিছু অংশ চুরি করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে তালতলী সাব জোনাল অফিস কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করেন। পরের দিন ৪ অক্টোবর গ্রাহকের নিজ অর্থায়নে ক্রয়কৃত তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার বিষয়টি এফ.আই.আর করেন তালতলী সাব জোনাল অফিস। অফিস কতৃক এফআইআরে লেখা হয় যে পুরো ট্রান্সফরমার চুরি হয়। দীর্ঘদিন পরও যখন চুরিকৃত ট্রান্সফরমারের চুরিকৃত অংশ উদ্ধার হয়নি তখন মেসার্স স্টার ট্রেডিং কর্পোরেশন আবারও নিজস্ব অর্থায়নে বাহিরের কোম্পানি এনার্জি পাওয়ার ইন্জিনিয়ারিং লি : প্রোপাইটর শুক্কুর আলী এর কাছ থেকে মেরাত করে নিয়ে আসেন এবং অফিসের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সমিতির ওয়ার্কশপ থেকে মেরামতকৃত ট্রান্সফরমার তিনটি পরীক্ষা করে পূনরায় স্থাপন করতে গেলে তালতলী সাব জোনাল অফিস তাতে বাধা দিয়ে সদর অফিসে কিভাবে মেরামতকৃত ট্রান্সফরমার স্থাপন হচ্ছে তা জানতে চায়। পরবর্তীতে ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে চুরিকৃত ট্রান্সফরমার লাগানো হচ্ছে এমন ভুল তথ্য দিয়ে প্রচার হওয়ার ফলে সদর দপ্তর একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সমাধানের কথা জানান। ফলে বহু দিন যাবত বিদ্যুৎ না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের উৎপাদনে ব্যহত ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এবিষয়ে মেসার্স স্টার ট্রেডিং কর্পোরেশনের প্রোপাইটর মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন- আমার টাকায় কিনা ট্রান্সফরমারের কিছু অংশ চুরি হয়ে যাওয়ার পর আমি আবারো পল্লী বিদ্যুৎ এর নিয়ম মেনে এনার্জি পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের মাধ্যমে সংস্কার করে তা পূনরায় স্থাপন করতে গেলে কাজে বাধা আসে। আমি নাকি চুরিকৃত ট্রান্সফরমার স্থাপন করছি। আপনারাই বলেন আমার টাকায় ক্রয় করা ট্রান্সফরমার চুরি করিয়ে আবার তা আমিই ঠিক করে , পরীক্ষা করে টাকা খরচ করে তাতে আমার লাভ কি?
মেসার্স স্টার ট্রেডিং কর্পোরেশনের সহকারী ম্যানেজার অপু ফেরদৌস বলেন ট্রান্সফরমারের কিছু অংশ চুরি হওয়ার পর সাধুর বাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করার পর অফিসের এক কর্মকর্তা আমাকে ফজলু মিয়ার নিকট থেকে মেরামত করার কথা বলে। আমরা শুক্কুর আলীর নিকট থেকে মেরামত করায় এখন বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে বলে মনে হয়।
এনার্জি পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রোপাইটর মোঃ শুক্কুর আলীর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন গ্রাহক তার ট্রান্সফরমার আমার কাছে মেরামতের জন্য নিয়ে আসলে আমার প্রতিষ্ঠান মেরামতের খরচ নিয়ে ঠিক করে দেয়। এগুলো চুরিকৃত মাল নয়। আমার প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট রশিদ দিয়ে আমি তাদের নিকট থেকে মেরামত বাবদ খরচ নিয়েছি। প্রমাণ হিসেবে আমার কাছে সকল কাগজ পত্র আছে। আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য বিসমিল্লাহ ইলেক্ট্রিক হাউজের মালিক মোঃ ফজলুল হক মিথ্যা তথ্য দিয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে ।
এবিষয়ে তালতলী সাব জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ কনক হোসেন বলেন চুরির ঘটনা শুনে আমি ঘটনা তদন্তের জন্য দুইজন অফিসারকে পাঠালে তারা তদন্ত করে তিনটি খালি ট্যাংক ও ছড়ানো ছিটানো কোর দেখতে পায়। আমার কাছে মেরামতের বিষয়ে জানতে আসলে আমি নতুন ট্রান্সফরমার ক্রয় করতে বলি। পরে সদর দপ্তর আমার কাছে মেরামতের রিপোর্ট চায়লে রিপোর্ট দিয়ে দেই। ট্রান্সফরমার মেরামতের বিষয়টি আমি জানি তবে মেরামতকৃত ট্রান্সফরমারটি লাগানো যাবে কিনা তা জানতেই আমি সদর দপ্তরে রিপোর্ট দিয়েছি। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশি আমার বক্তব্যটি পুরোটা আসেনি। বক্তব্যটিতে অসঙ্গতি মনে হয়েছে।
মুহাম্মদ মুছা মিয়া
মাধবদী, নরসিংদী।
০১৯১২-৪৮৫০৮৫