মুহাম্মদ মুছা মিয়া: নরসিংদীর মাধবদীতে বন্ধ থাকা ৭টি বিরিয়ানী হাউজ শর্তসাপেক্ষে খোলার অনুমতি দিয়েছেন মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক। ইতোমধ্যে গত ৭ জুন মঙ্গলবার ব্যবসায়ীগন তাদের দোকান খোলেছেন। কিন্তু আগের তুলনায় বিরিয়ানী হাউজগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। মাধবদীতে অবস্থিত দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমাণের বেচাকেনা হতো। কিন্তু বর্তমানে দোকানগুলোর কর্মচারীদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। পূর্বে এসব বিরিয়ানীর হাফ প্লেটের দাম ছিল ৭০ টাকা এবং ফুল প্লেটের দাম ছিল ১৪০ টাকা। বর্তমানে দাম বৃদ্ধি করে হাফ প্লেটের দাম ১০০ টাকা এবং ফুল প্লেটের দাম ২০০ টাকা করা হয়েছে । উল্লেখ্য যে, গত কিছুদিন আগে মাধবদীতে অবস্থিত কিছু বিরিয়ানী হাউজে ভারতের প্যাকেটজাত ঘোড়া বা অজানা কোনো মাংস দিয়ে বিরিয়ানী , তেহারী ও কাচ্চি বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। জনমনে সংশয় ও বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক ৭টি দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মাধবদী বাসস্টেন্ড এলাকায় অবস্থিত দোকান গুলো হলো কোলকাতা কাচ্চি ঘর, বিসমিল্লাহ বিরিয়ানী হাউজ, নান্না বিরিয়ানী হাউজ, হাজী কাচ্চি ঘর, আল্লার দান হাজী বিরিয়ানী হাউস এবং মাধবদী বাজারে অবস্থিত কোলকাতা কাচ্চি ঘর ও আল্লার দান হাজীর বিরিয়ানী হাউজ। দোকানগুলো চালু হওয়ার পর থেকেই জনমনে প্রশ্ন ছিল অল্প টাকায় এত মাংস দেয় কিভাবে? স্থানীয় কোনো মাংসের দোকান থেকে মাংস ক্রয় না করা, রাতে বা ভোরে প্যাকেটজাত মাংস সরবরাহ করা, বাড়ি থেকে রান্না করে দোকানে বিক্রি করাসহ মাংসের স্বাদ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এমতবস্থায় মাধবদী পৌর মেয়র দোকান মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযোগ স্বীকার করায় বিরিয়ানী হাউজগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। দোকানগুলো পুনরায় আবার খোলার অনুমতির বিষয়টির কারণ জানতে চাইলে মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক বলেন, বিরিয়ানী হাউজগুলো স্থানীয় মাংসের দোকান থেকে মাংস কয় করে পৌরসভায় ক্রয় রশিদ জমা দিতে বলা হয়েছে। শুধুমাত্র গরুর মাংস দিয়ে তেহারী রান্না করতে হবে। পৌরসভার একজন কর্মকর্তাকে সামনে রেখে গরু, মুরগী ও খাসির মাংস ক্রয় করতে হবে এবং রান্না করতে হবে। এসব শর্ত দিয়েই বিরিয়ানী হাউজগুলো খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মুহাম্মদ মুছা মিয়া মাধবদী, নরসিংদী।