1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narsingdir Awaaz : Narsingdir Awaaz
শিরোনাম : :
মহিষাশুড়া ইউনিয়ন ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল  আমরা মাধবদীবাসী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে ঈদ উপহার বিতরণ নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  মানব কল্যান সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা মাধবদীর মেহেরপাড়ায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত জাগ্রত টেক্সটাইল ব্যবসায়ী ও জনতার আয়োজনে ইফতার মাহফিল মাধবদীতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  গাঁজায় ও ভারতে মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল মাধবদীতে জমি নিয়ে আনন্দী গ্রামে মারধর

নরসিংদী সুদের টাকার চাপে আত্মহত্যা মরেও শান্তি নেই কবরে লাঠি-পেঠা

  • আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২
  • ২২৯ জন দেখেছেন
নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদী গজারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার বাবুল মিয়া বাড়ি। পেশায় এজজন রাজ মেস্ত্ররী। তার এক স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে। অত্যান্ত অভাবের সংসার ছিল তার। অভাবের তারনায় সন্তান ও স্ত্রীকে আহারের ব্যাবস্থা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছছিল তার । তাই বেশ কিছু টাকা বিভিন্ন সময় সুদের উপর উঠাইয়া চেয়েছিল সংসারের সচ্চলতা ফিরে আনার। কিন্ত ভ্যাগের পরিহাশ অবশেষে সুদ দাতাদের চাপের মুখে গত ২০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত্রে গলায় ফাঁস দিয়ে মরতে হয়েছে তার। মরার পর পরই পরিবারের উপরও বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃস্টি করছে পাওনাদারা টাকার জন্য। শুধু তাই নয়, মরেও শান্তি নেই,কবরে গিয়ে লাঠি-পেঠা করছে টাকার জন্য। এমন অভিযোগ করেন তার স্ত্রী মহারানি। মহারানি আরও জানান,তিনি শাহীন মিয়া ,সুমন ,শিউলি ,তাছলিমা ও সুফিয়া কাছ থেকে এক হাজারের,একশত টাকা করে সুদ দিবে বলে, বেশ কিছু টাকা সুদের উপর আনিয়া ছিল। এর মধ্যে প্রায় অনেক দিন যাবৎ সুদ ও আসল টাকা কিছু পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, শিউলি ,শাহীন তাছলিমার গত ২০ জানুয়ারী এশার নামান পড়ে বাবুল মিয়া বাড়ি আসার পথে রাস্তায় সুদের টাকার জন্য অকথ্য ভাষায় গালা-গালিজ করয়েছিল। এসব কারণে বাবুল মিয়া ঐ দিন নিজ বাড়ির রান্না ঘরেরা ভিতর গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি দুনিয়া থেকে চির বিদাই নিয়ে যান। রেখে যান এক স্ত্রী ,তিন মেয়ে ও এক ছেলে। তার সকল সন্তানই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছিল। ছোট ছেলে আশ্রাফুল বয়স ৯ বৎসর। প্রথম শ্রেণীতে জবেদা খাতুন হাফিজায় মাদ্রাসা,গজারিয়ায় লেখা পড়া করছে। সে যখন মাদ্রাসা থেকে রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরে তখন ঐ সুদ দাতারা তাকে চাপ সৃস্টি করে টাকা দেওয়ার জন্য। এখন সে তাদের ভয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি আসে। শুধু তাই নয় বাবুল মিয়া মারা যাওয়ার পর পরই শাহীন মিয়া তাদের ঘরের ভিতরের কিছু জিনিষ পত্র নিয়ে যায় ঐ টাকার বিনিময়ে। এতে শাহীন মিয়ার টাকা পরিশোধ হয়েছে বলে জানান মহারানি। স্থানীয় কাশেম,সাবেক মেম্বার জানান,বাবুল মিয়া আতœহত্যা করেছে তা সত্য। তবে সেই কিছু টাকা সুদের উপর মানুষের নিকট থেকে আনছে তাও সত্য। পাওয়না দারের চাপে সে আতœহত্যা করেছে এইটা সত্য। একজন পাওয়ানাদেরকে তার ঘরের কিছু জিনিষ দিয়ে পরিশোদ করেছি টাকা। আর বাকী পাওয়নাদাররা টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে । পারবারটি অসাহায় হয়ে পরেছে। শুনয়াছি পাওয়নাদাররা বাবুল মিয়ার করের কাছে গিয়ে গালা-গালিজ করে। এটা সত্যিই অত্যান্ত দুঃখের বিষয়। ভদ্র সমাজে এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। জাকির হোসেন চৌধুরি,চেয়ারম্যান গজারিয়া ইউনিয়ন তিনি জানান,সুদ দেওয়া ও নেওয়া সমান অপরাধ। বাবুল মিয়ার সংসার ছিল অভাবের সংসার। অভাবের তারনায় সুদে কিছু টাকা সে আনিয়াছে আমি শুনিয়াছি। গজানিয়া ইউনিয়নে কিছু লোক সুদের ব্যাবসা করে তিনি জানেন। তাদের বিচার তিনি করেন না। যারা সুদ দেয় ও আনে এটা তাদের ব্যাপার। তবে বাবুল মিয়ার স্ত্রী,সন্তানরা তার কাছে আসিয়া বলেছে পাওনাদারা তাদের উপর চাপ সৃস্টি করছে। কিন্ত কোন পাওনাদার এখনও পর্যন্ত চেয়ারম্যানের কাছে আসিয়া বলে নাই বাবুল মিয়ার কাছে টাকা পায়। আর যারা সুদের টাকার জন্য বাবুল মিয়ার কবরে লাঠি-পেঠা করছে এটা ভদ্র সমাজে মানা যায় না।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ নরসিংদীর আওয়াজ
Site Customized By Rahat IT Ltd.