সুমন পালঃ মাধবদী থানা পুলিশ গত ১১ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বালুসাইর আলগাপাড়া থেকে ফজর আলী ফজা কে আটক করেছে। পুলিশ জানায় আছিয়া বেগম (২৮)কে হত্যার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে ঘটনার সততা স্বীকার করেছে আটককৃত ফজর আলী ফজা। ঘটনার বিবরণে আরো জানাযায় গত ৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার মাধবদী থানার বালুসাইর এলাকায় জুয়া খেলতে বাধা দেয়ায় নিজ স্ত্রী কে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। হত্যার পর বাড়ির অদূরে একটি ইটভাটার পাশে মরদেহ ফেলে দেয়। খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে পরিত্যক্ত ইট ভাটার পাশের জমি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আছিয়া (২৮) মাধবদীর বালুসাইর গ্রামের ফজর আলী স্ত্রী। সে মাধবদী একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো। নিহতের স্বজনরা জানায়, নিহত আসিয়া প্রতিদিনের মতো কারখানার কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে নিহতের স্বামী জোহর আলীর সাথে তার বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামী উত্তেজিত হয়ে আছিয়াকে মারপিট শুরু করেন। পরে লোহার রড দিয়ে তার মাথায় এলোপাথারী আঘাত করতে থাকে। এতে তার মাথার মস্তক বেড়িয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় তার সন্তানরা তাকে বাধা দিতে এলে তাদেরকেউ পিটাতে আসে। পরে গভীর রাতে নিহতের মরদেহ পরিত্যক্ত সানি ইট ভাটার পাশের জমিতে ফেলে দেয়। সকাল ১০টার দিকে ইট ভাটার পাশে এক মহিলার মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পাষন্ড স্বামী পালিয়ে যায়। নিহত আছিয়ার তিনটি সন্তান রয়েছে। নিহতরে ছেলে রাজিব বলেন,রাতে মা বাবার মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় রড দিয়ে মাকে পিটিয়ে মারে। মাধবদী থানার সাব ইনস্পেক্টর জাহিদুল ইসলাম জানায়, মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দুজ্জামান এর নেতৃত্বে হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর থেকে ঘাতক স্বামীকে আটক করার চেষ্টা চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল তাকে আটক করতে সক্ষম হই। আটককৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
##
সুমন পাল