
মুহাম্মদ মুছা মিয়া : নরসিংদীর পলাশে তরুণদের মুখোমুখি জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী উপাধ্যক্ষ মাওলানা আমজাদ হোসাইন। পলাশ উপজেলার বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত
ইয়ুথ এসোসিয়েশন অব পলাশ এর উদ্যোগে “তরুণদের মুখোমুখি জননেতা উপাধ্যক্ষ মাওলানা আমজাদ হোসাইন” শীর্ষক অনুষ্ঠানে সরাসরি প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। অনুষ্ঠানটি ঘোড়াশাল পোস্ট অফিস রোডে আজ ২৪ নভেম্বর বিকেল ৩.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৫.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
ইয়ুথ এসোসিয়েশন অব পলাশ এর সভাপতি ইউসুফ ইসলাহীর পরিচালনায় এবং এসোসিয়েশন এর সদস্য সোহরাব হোসেন রোকনের সঞ্চালনায় তরুণদের প্রশ্নের মুখোমুখি করা হয়, নরসিংদী-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী উপাধ্যক্ষ মাওলানা আমজাদ হোসাইনকে।
অনুষ্ঠানে পলাশ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত ছাত্ররা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, দুর্নীতিসহ পলাশ উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট নিয়ে সংসদ সদস্য প্রার্থীকে প্রশ্নে জর্জরিত করেন। তরুণদের প্রশ্নের জবাবে আগামীর পলাশ বিনির্মানে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন এবং জনগনকে সাথে নিয়ে সমৃদ্ধ পলাশ বিনির্মানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে তরুণদের পাশাপাশি সচেতন যুবসমাজ এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আমজাদ হোসাইন বলেন- “জনগণ যদি আমাদের নির্বাচিত করে তাহলে আমরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করবো ইনশাআল্লাহ। পলাশ উপজেলাকে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।
বেকারত্ব সমস্যা সংশ্লিষ্ট প্রশ্নে তিনি বলেন-
প্রথমত পলাশ উপজেলায় অবস্থিত বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে যত কর্মী প্রয়োজন হয়, সেখানে পলাশের অধিবাসীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পলাশ উপজেলায় বিনিয়োগ নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন এবং জব ফেয়ার আয়োজন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
শিক্ষা সংস্কার সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের জবাবে বলেন- ব্রিটিশদের শিক্ষা ব্যবস্থার পজিটিভ দিকগুলো রেখে খারাপ দিকগুলো বাদ দেওয়া হবে। নৈতিক ও আধুনিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগতমান বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ডাকসুর বেগম রোকেয়া হল সংসদে নির্বাচিত এক নারী শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে। নারীদের সেল্ফ ডিফেন্স এর জন্য আত্মরক্ষামূলক ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হবে এবং মসজিদে নারীদের নামাজের সুব্যবস্থা করা হবে।
জুলাই বিপ্লবে আহত একজন জুলাই যোদ্ধার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- বাংলাদেশে জুলাই কে সর্বোচ্চ ধারণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জুলাই যেন ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে না যায় এজন্য জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে ইতোমধ্যে দশ খন্ডের বই প্রকাশ করেছে। এবং জামায়াত ক্ষমতায় গেলে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা ও তাদের পুনর্বাসনে সর্বোচ্চ ভুমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।