সুমন পালঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী পৌর এলাকার আলগী মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার মাহমুদা এর বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কামরুন্নাহার মাহমুদা যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের দপ্তরীর সাথে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলে আসছে। এ নিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে বেশ কয়েকবার মিটিং করে সমাধান করে দিলেও পরক্ষণেই আবারো তাদের দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। কয়েকমাস পূর্বে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী ভর্তির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়কালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আলী আশরাফ জিঙ্গেস করলে তার সাথেও খারাপ আচরণ করে এই প্রধান শিক্ষক। এ বিষয় নিয়ে নরসিংদী জেলা শিক্ষা অফিসে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়েরের পর শিক্ষা অফিসের লোকজন দিয়ে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে করে প্রধান শিক্ষক আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বৃন্দ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন ম্যাডাম আমাদের সাথে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খারাপ আচরণ করে। দপ্তরী শরীফের সাথে ম্যাডামের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এলাকার সাধারণ জনগণ বলেন ম্যাডামের ব্যবহার খুবই খারাপ। তিনি কারো সাথে ভালো ব্যবহার করে না। এমনকি স্কুলের স্যার ম্যাডামদের সাথে না। মাত্র কয়েকদিন আগে এ শিক্ষক স্কুলের সামনে বড়ুই বিক্রেতা এক শিশুকে স্কুলের ভিতর ডেকে নিয়ে মারধর করে। আমরা চাই এখান থেকে ওনাকে বদলি করা হউক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আচরণ যদি এমন হয় তাহলে কোমলমতি শিশুরা এখান থেকে কি শিখবে, তাদের নৈতিক চরিত্র ভালো না হয়ে বরং খারাপ হবে। আমরা নরসিংদী জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের এর নিকট দাবী জানাই এই শিক্ষককে এখান থেকে বদলি করে শিক্ষার মান অক্ষুন্ন রাখা হউক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, শরিফের বউ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। স্কুলের গেইটের কাছে গেলে আমাকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার মধ্যে ফেলে শরিফের শ্বাশুড়ি সহ আমাকে কিল-ঘুষি মারে, শরিফ বলতেছে আরো দে আরো দে। অপরদিকে বিদ্যালয়ের দপ্তরী বলেন, আমি স্কুলে যেতে দেরী করায় ম্যাডাম আমাকে বকাবকি করে ও আমার শরীরে আঘাত করে। বিগত সময়েও তিনি আমার সাথে কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি স্কুলের ছোটপদে চাকরি করি বলে আমার উপর ঘটে যাওয়া অত্যাচারের বিচার পাই না। জেলা শিক্ষা অফিসার জানান, এ ঘটনা নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি, শারীরিক ভাবে শিক্ষিকাকে ও সরকারি কর্মকর্তাকে নির্যাতন করায় আইনী মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।