হুমায়ুন মিয়া নরসিংদী : নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার পাইকারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পাইকারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম।
একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি এলাকায় দান-খয়রাতের জন্য ও তাঁর বেশ সুনাম রয়েছে। বিপদ গ্রস্ত মানুষ তার কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়ালে তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। ইউনিয়নের টুকিটাকি বিষয়ে তাঁর সাথে আলাপকালে তিনি স্বদেশ প্রতিদিনের নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি কে বলেন – আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়া এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের একজন কর্মী। আমি পাইকারচর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের পাশে সব সময়ই সেবার উদ্দেশ্য দাঁড়িয়েছি। আমার আচার-আচরণ, রাজনৈতিক দক্ষতা, দান-খয়রাতের জন্য ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ও নেতৃবৃন্দ আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করে। নরসিংদী সদরের মাননীয় এম পি ( সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী) লেঃ কর্নেল নজরুল ইসলাম হিরো বীর উত্তম আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমি পরিবারের সাথে আলোচনা করলে তারা আমাকে সম্মতি দেয় , জনগণ, এম পি মহোদয় ও দল আমাকে মনোনয়ন দিলে জনগণের সেবা করতে আমি রাজি হই। দল আমাকে নৌকার মনোনয়ন নিশ্চিত করার পর আমি জয়লাভের জন্য মাঠ চষে বেড়াই এবং সকলের সহযোগিতা ও সাধারণ মানুষের ভোটের মধ্যে দিয়ে পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।
আমি নির্বাচিত হয়েই আমাদের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ কে সাথে নিয়ে পাইকারচর ইউনিয়নের উন্নয়নে দিন-রাত এক করে কাজ করি এবং করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার পর থেকেই পাইকারচর ইউনিয়ন ছিল বি এন পির ঘাঁটি। আমি সেই ঘাঁটি কে বর্তমানে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।
আমি নির্বাচিত হয়েই রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে সৌর বিদ্যুতের বাতি দিয়েছি, যাত্রী ছাউনি । বিধবা, বয়স্ক ভাতা, ভি জি এফের চাল বিতরণ,জন্ম সনদ সহ সরকারি যতো কাজ আছে সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত ভাবে কাজ করেছি। ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে ইউনিয়নবাসীর কাজ সহজ করার ফলে তারা খুশি । প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছি জনগণের সেবা, দুর্নীতিমুক্ত কাজ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আমি কাউকে ছাড় দিবো না।যুব সমাজ কে মাদকের হাত থেকে রক্ষায় বছর জুড়েই খেলাধুলার আয়োজন করি।
পাইকারচর ইউনিয়নের এলিট শ্রেণীর সব ধরনের সহযোগিতা আমি পেয়ে আসছি যা আমার কাজের গতি কে বাড়িয়ে দিয়েছে।
তারপরও নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি জনবিচ্ছিন্ন মহল আমার ব্যাপারে অপপ্রচার চালাচ্ছে যা ইউনিয়নবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি গঠন মূলক সমালোচনা কে পছন্দ করি কিন্তু মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা কে ঘৃণা করি। তারপরও কারো বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নাই। নৌকার পক্ষের সাধারণ মানুষ, দলের নেতৃবৃন্দ কে ভালবাসি।
আমার সততা, কাজের উন্নয়ন ও সেবার কারণে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ আমাকে এখন আরো বেশি ভালবাসে, সমর্থন করে। কারণ -দিন-রাত নাই যখনই সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে আমি তাদের রক্ষা করতে ঝাপিয়ে পড়ি। করোনাকালীন ইউনিয়নবাসীর পাশে থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। দান-খয়রাতের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ভাবে আমি প্রতিটি পরিবারের পাশে অতীত কাল থেকেই ছিলাম,আছি, থাকবো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দল আমাকে যদি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন দেন তাহলে পরবর্তীতে পাইকারচর ইউনিয়ন কে মডেল ইউনিয়নে পরিণত করাই আমার টার্গেট ইনশাআল্লাহ।
বিভিন্ন সংস্থা আমার উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য আমাকে পুরস্কৃত করেছে আমি তাদের কে ধন্যবাদ জানাই। সাংবাদিকদের কলমেই ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারা উঠে আসতেছে।
কাজ করতে গিয়ে সবার মন রক্ষা করা যায় না এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু ভুল-ভ্রান্তি থাকতে পারে। তবে ভবিষ্যতে আরো সতর্ক হয়ে কাজ করবো। দলের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা রাখতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি এবং ত্যাগ স্বীকার করে আসছি যা ইউনিয়নবাসী, দল সহ উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন।
দল আমাকে মনোনয়ন না দিলেও আমি দলের কল্যাণে কাজ করে যাবো এবং আমরণ পাইকারচর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো তাতে কোন সন্দেহ নাই।
আল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ তাঁর পরিবারের সবাই কে নেক হায়াৎ দিন। আমার পাইকারচর ইউনিয়নের সবাই কে সালাম জানাচ্ছি এবং তাদের সুন্দর জিবন কামনা করছি এবং আশা করছি আল্লাহ চাইলে তাদের কে নিয়ে ভবিষ্যতে আমার যে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত আছে তা আরো বেগবান হবে।