শরীফ ইকবাল রাসেল:
দেশের রাজস্ব আয়ের সিংহভাগ আসে বৈদেশিক রেমিটেন্স থেকে। এক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৮ লাখেরও বেশী প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করে। যাদের অর্ধেকই সৌদি আরবে এবং চার ভাগের এক ভাগ আরব আমিরাতে বসবাস করে। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত টেকনিশিয়ান, গৃহস্থালী কর্মী, শ্রমিক, ব্যাবসায়ী এবং চাকরিজীবি হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে যায়। এছাড়া বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার ও চিকিৎসক রয়েছেন।
সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ শ্রমিক যোগান দেওয়ায় সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিশাল একটি সম্প্রদায় গড়ে উঠেছে।
উন্নত দেশের তুলনায় কর্মের সন্ধানে বাংলাদেশ থেকে মুলত সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সিংগাপুর, লেবানন, ওমান ও জর্ডান ইত্যাদি দেশে বেশী জনশক্তি রপ্তানি হচ্ছে।
এসব দেশে প্রবাসীদের আহরিত রেমিটেন্স এক সময় হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো হতো। কারণ তখন প্রবাসী ও তাদের পরিবার দেশে টাকা পাঠানোর আইনগত বিষয়ে অনেকটাই অজ্ঞ ছিল। যারফলে হুন্ডিতেই টাকা পাঠানো নিরাপদ বলে মনে করতো। আর এভাবে টাকা পাঠানো হলে এর একটি অংশ হুন্ডিব্যক্তিদের কাছে চলে যেতো। আবার অনেক সময় প্রতারনার মাধ্যমে সেই টাকার অনিশ্চয়তাও দেখা গেছে। এসব বিষয় নিয়ে বিদেশী কিছু সংস্থার অর্থায়নে দু-একটি এনজিও দেশের প্রবাসী ও তাদের পরিবারদের নিয়ে কাজ শুরু করে। এভাবে সংস্থাগুলো অভিবাসী প্রবণ এলাকায় কাজ করার ফলে ওই সকল এলাকার প্রবাসীরা এখন বৈধভাবে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। কাজ শিখে বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবাসী পরিবারের মাঝে অর্থ সঞ্চয়, ভিসা যাচাই, ফিংগার নিশ্চিতকরণ ও মধ্যসত্তভোগীদের কাছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে চুক্তিপত্রসহ প্রবাসী বিষয়ে আজ অনেকটা অভিজ্ঞ।
মঙ্গলবার (১৭মে) দিনব্যাপী নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলার প্রবাসী পরিবারদের খোজখবর নিতে এসে কথাগুলো বলছেন, হেলভেটাস বাংলাদেশ নামে একটি আন্তার্জাকি সংস্থার কান্ট্রি ডাইরেক্টর বিন ব্লুমেন্টাল ও সংস্থাটির টিম লিডার কার্টিন রোজেন বার্গ।
এছাড়া হেলভেটাস বাংলাদেশের মনিটরিং বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার সারওয়াত বিনতে ইসলাম, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) প্রধান কার্যালয়ের সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, নিরাপদ অভিবাসন প্রকল্প কর্মকর্তা মো: বাবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলটি প্রথমে জেলার পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নোয়াকান্দা গ্রামে প্রবাসী পরিবারদের নিয়ে গঠিত একটি দলের সদস্যদের সাথে মত বিনিময় করেন ও দুটি প্রবাসী পরিবারের অবস্থা পরিদর্শন করেন।
পরে নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের সাথে এক কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন। সবশেষে মাধবদীতে প্রবাস ফেরত দুজন ব্যবসায়ীর সাথে সাক্ষাত করে তাদের খোজ খবর নেন।
এসময় হেলভেটাস বাংলাদেশের এই দুই প্রতিনিধি গণমাধ্যমকে দেয়া সমাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন।