1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narsingdir Awaaz : Narsingdir Awaaz

নরসিংদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে লকডাউনের সময় কাটাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ

  • আপডেট সময়: শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১
  • ৩০৭ জন দেখেছেন

হুমায়ুন মিয়া নরসিংদী ঃ
মাছে ভাতে বাঙালী। এই প্রবাদ বাক্যটি আজো গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে প্রচলিত আছে। বাংলাদেশে যখন শিল্প বিপ্লব তেমন ভাবে প্রসার ঘটেনি তখন নদীনালা, খাল-বিলে প্রচুর মিটা পানির মাছ পাওয়া যেতো।

যেমন পুঁটি মাছ, কই মাছ, শিং মাছ, মাগুর মাছ, রুই মাছ, কাতল মাছ, টেংরা মাছ, বইছা মাছ, বাইন মাছ, কাইক্কা মাছ সহ নানান প্রজাতির মাছ।

তবে সে যুগ এখন অতীত হতে চলেছে। কারণ এখন চারদিকে বাধ নির্মাণ হচ্ছে, হাওড়-বাওড় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছের জন্য ডাইংয়ের কেমিক্যাল মিশ্রিত রংয়ের পানি।

অধিকাংশ কলকারখানা ও মিলের দূষিত রংয়ের পানি নদী বা খালে মিশে পানি দূষিত করে দিচ্ছে। ফলে রংয়ের পানির ক্ষতিকর প্রভাবে পানি দূষিত হয়ে মাছের ডিম নষ্ট হয়ে মাছ মরে যাচ্ছে।

এতে নদনদী গুলোতে মিটা পানির মাছ কমে যাচ্ছে। ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলীন হওয়ার মুখে পড়েছে।

এবিষয়ে মহিষাশুড়া ইউনিয়নের মদনগঞ্জ সড়কের পাশে মাছ ধরতে আসা -দামের ভাওলার কাদির মিয়া বলেন – আগের মতো মাছ আর পাইনা। রংয়ের পানিতে মাছ মরে যায় এবং আগের মতো আর বর্ষাও হয় না। সরকারের কাছে আবেদন জানাই, যেন কলকারখানার রংয়ের পানি পরিশোধিত করে ছাড়ে তাহলে আমাদের মাছ বাঁচবে।

বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে আসা – মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন – রংয়ের পানির কারণে মাছ, ফসল ও গবাদিপশুর ক্ষতি হচ্ছে। সরকারের কাছে আবেদন জানাই যাতে এই রংয়ের পানি পরিশোধিত করে ছাড়ার ব্যবস্থা করে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

মাছ ধরা দেখতে আসাদের একজন বলেন-এখন আর আগের মতো বর্ষা হয় না এবং রংয়ের পানির জন্য মাছ, ফসল ও গবাদিপশু-পাখির ক্ষতি হচ্ছে বেশি।

সচেতন মহল এর মতে সরকার ও ডাইংয়ের মালিকরা যদি বিষয়টি কে আরো গুরুত্ব দিয়ে দেখে তবে বাঁচবে নদী, বাঁচবে মাছ,পশুপাখি সহ পরিবেশ।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ নরসিংদীর আওয়াজ
Site Customized By Rahat IT Ltd.