1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narsingdir Awaaz : Narsingdir Awaaz
শিরোনাম : :
আমাদের প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দিন নরসিংদী জনসভায় জামায়াতের আমির ডাঃ শফিকুর রহমান  নরসিংদীর শিবপুরে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় মোবাইল কোর্টে নগদ ৬০ হাজার টাকা আদায়।।  গাজীপুরের হামলায় মাধবদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে সমাবেশ মাধবদী ও বাবুর হাটকে ধ্বংসের নীল নকশার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা মাধবদীতে দোকানীকে রক্তাক্ত জখম করে টাকা লুট বেলাবতে শিশুদের জন্য ফ্রী হৃদরোগ সেবা প্রদান মাধবদী থানা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন আয়োজিত বেসরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশ নরসিংদীতে ৪০ কেজি গাজা ও একটি বাস সহ আটক-৩ মাধবদীতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

মাধবদীর খিলগাঁও এলাকায় মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবেশীকে হয়রানি

  • আপডেট সময়: শনিবার, ৭ মে, ২০২২
  • ১৮৫ জন দেখেছেন

 

মনিরুজ্জামান,নরসিংদীঃনরসিংদীর মাধবদী থানাধীন মহিষাশুরা ইউনিয়নের খিলগাঁও এলাকায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের রান্না ঘরে নিজে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মিথ্যে ও বানোয়াট মামলা দিয়ে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আল-আমিন ও তার স্ত্রী তাছলিমার বিরুদ্ধে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে নরসিংদীর মাধবদীর খিলগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় মোঃ আল-আমিন বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মামলা দায়ের করে।

মামলায় একই এলাকার,১.মোমেন (৩৫),পিতা- একবর আলী,২.রমজান(৩২),পিতা-একবর আলী,৩.একবর আলী(৫০),পিতা মৃত-জয়মুদ্দিন,৪.মাহমুদা(৩০),স্বামী-মোমেনকে আসামি করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, আল-আমিনের স্ত্রী তাছলিমা অত্যন্ত ঝগড়াটে আচরণের মহিলা।
সে প্রতি নিয়ত কারো না কারো সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে।
ঠুনকো জিনিস নিয়ে কারো সাথে কথা কাটাকাটি হলে সে আদালতে মামলা ঠুকে দেয়।
তার এসকল আচরণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তার নোংরা কথাবার্তা ও আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তার আপন ভাই তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
তার অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচার আচরণের কারণে তাকে একাধিকবার গ্রামবাসীর কাছে মুচলেকা দিতে হয়েছে তবুও তার পরিবর্তন হয়নি।

 

ঘটনার সত্যতা জানতে শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে মুহূর্তে প্রায় ৩০/৪০ জন লোক জড়ো হয়।
এসময় হয়রানি মামলার আসামি একবর আলীর কাছে থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাছলিমা ও তার স্বামীর অত্যাচারে আমার পুরো পরিবার আজ বিপর্যস্ত। সে তার নিজের রান্নাঘরে তালা ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমার এবং আমার ছেলেদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
তার কারণে এই বয়সে এসে আমাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এলাকার ষাটোর্ধ্ব মুরুব্বি মোঃ আজাহার আলী বলেন,একাব্বর আলী ও তার ছেলেদের মতো ভালো মানুষ আমাদের এলাকায় খুবই কম। তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এলাকার একটি কুচক্রী মহলের পরামর্শে তাছলিমা তার নিজের রান্নাঘরে আগুন ধরিয়ে এ মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
আমরা আল-আমিন ও তার স্ত্রী তাছলিমার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

আব্দুল লতিফ (সাবেক মেম্বার) বলেন,একাব্বর আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যেদিন আগুন লাগার ঘটনা ঘটে সেদিন তিনি এতেকাফ রত অবস্থায় মসজিদে ছিলেন।
একই এলাকার বিল্লাল, শাহজাহান,আরব আলী মেম্বার, শফিউদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে আমরা সবাই দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় মসজিদের মাইক দিয়ে মোমেনের ঘরে আগুন লাগার বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানানো হয়।
পরে আমরা সবাই দৌড়াদৌড়ি করে সেখানে গিয়ে দেখি আলামিনের রান্না ঘরে আগুন জ্বলছে। আগুন নেভাতে এগিয়ে গিয়ে রান্না ঘরের দরজা তালাবদ্ধ দেখে আলামিনের বউয়ের কাছে চাবি চাই।তখন তিনি পান চিবোতে চিবোতে বলেন আমার ঘরে আগুন লাগছে তোদের এতো জ্বলে কেন? তিনি চাবি বা পানি কোনোকিছু দিয়েই আমাদের সাহায্য করে নি। পরে অন্য বাড়ি থেকে পাইপ দিয়ে পানি এনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আলামিন ও তার স্ত্রী তাছলিমাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
আলামিনের আপন মামা আবুল হাশেম বলেন, এ মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার ভাগিনা ও ভাগিনা বউ তাছলিমার কারণে এলাকায় মুখ দেখানো যায় না। তাদের কারনে এলাকার শান্তি নষ্ট হচ্ছে।

মামলার বাদি আল-আমিন বলেন,আমরা খুবই সাধারণ ও অসহায় পরিবারের লোক। তারা বহুদিন ধরে আমার বাড়ির জমিটুকু নেওয়া পায়তারা করছে। জমি দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমার ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ওসমান গনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাছলিমার বসত বাড়িতে আগুন লাগার পর এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে এব্যাপারে আমার জানা নেই।
তবে মহিলাটি অত্যন্ত ঝগড়াটে ও মামলাবাজ বলে ও জানান তিনি।

এব্যাপারে জানতে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করে ও পাওয়া যায় নি।

#মনিরুজ্জামান
নরসিংদী
০৭-০৫-২২

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ নরসিংদীর আওয়াজ
Site Customized By Rahat IT Ltd.