ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আড়াইহাজারের সাতগ্রাম ইউনিয়নের পুরিন্দা বড় বাড়ি থেকে ৫ বছরের এক শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে আড়াই হাজার থানা পুলিশ। ধারণা করা হয় হাত-পা বেধেঁ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করে ধর্ষকরা। নিহত শিশুটির নাম লিজা আক্তার। সে ওই গ্রামের রযমান আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে খোঁজ করার পর পুরিন্দা এলাকার নান্নু মিয়ার ঘরটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। এতে লোকজনের সন্দেহ হলে তালা ভেঙ্গে ঘরে দেখেন শিশুটির লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
স্থানীয়রা জানান, পুরিন্দা গ্রামের নান্নু মিয়ার বাড়িতে সামাদ নামের এক জন লোক ভাড়া থাকে। তার সাথে ৩/৪ জন লোক সব সময় আসা-যাওয়া করে থাকে। এরা বিভিন্ন ফ্যাক্টরীতে কাজ করে থাকেন। নিখোঁজের পর শিশুটির লাশ সামাদের ঘর থেকে উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে
আড়াইহাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই সালেহ আহমেদ জানান, লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জনতা ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। আটকৃতরা হলো উপজেলার আশুয়াট গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহেল (৩০), কচুয়া থানার রঘুনাথপুর গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে সামাদ (৩৫) ও পলাশ থানার কবিরাজপুর গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে শিমুল (৩২)।
আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) জোবায়ের হোসেন জানান, এই ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষণের কোন আলামত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।