মাধবদী প্রতিনিধি: নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীন মেহেরপাড়া ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী শরিফ ও তার সহযোগী সুজন উরফে টাউরাকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। (৪ এপ্রিল) সোমবার আসামীগন নরসিংদী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। উল্লেখ্য, মেহেরপাড়া ইউনিয়নের চৌয়া গ্রামের একটি সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের অফিসে ডুকে মহসীন নামের এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে উল্লেখিত আসামীসহ তাদের সহযোগীরা। উল্লেখ্য, এই ঘটনার পর মাধবদী থানায় ১১ জন কে আসামী করে এজাহার দায়ের করেন আহত মহসীনের ভাই সুমন। আসামীরা হলেন, চৌয়া গ্রামের শরিফ মিয়া, বনু মিয়া, শান্ত মিয়া, বাদল মিয়া, আবুল কালাম, সুজন মিয়া, রাকিবুল, দানিছুর রহমান, ফটিক, আবুল হোসেন, রব মিয়া। এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মহসীনের উপর এই সন্ত্রাসী হামলা হয় ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার সময় শরিফ মিয়া, বনু মিয়া, শান্ত মিয়া, বাদল মিয়া, আবুল কালাম, সুজন মিয়া, রাকিবুল, দানিছুর রহমান, ফটিক, আবুল হোসেন, রব মিয়া সহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন বেআইনি দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে চৌয়া মানব কল্যান সংগঠনের অফিসে প্রবেশ করে মহসিন (৩৮) কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় খোরশেদ(৩০) বাধা দিলে তাকেও রক্তাক্ত জখম করা হয় এবং অন্যান্যদের আহত করা হয়। এসময় তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় এবং অফিসে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে ষাট হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় মহসিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে আহত মহসীন
ঢাকায় দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর এখন নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।