মোঃ নুর আলম:
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরই পরই দেশের বিভিন্ন বাজারে হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। আগামীকাল সোমবার মাধবদী সাপ্তাহিক হাঁটের দিনে ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা আর দেশী পেঁয়াজ ১৪০ টাকা মূল্য বেধে দিয়েছে মাধবদী পৌর কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণার পর পরই চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করে মাধবদী পেঁয়াজ আমদানীর কাজে জড়িত আড়ৎগুলোতে।
আজ রবিরার আড়ৎগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ ছাড়া অন্য মসলা বিক্রির জন্য দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। কিছু আড়তে পেঁয়াজ থাকলেও তারা এই দামে বিক্রি করবেননা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
পেঁয়াজের পাইকারী ব্যবসায়ী মোরসালিন জানান, দেশি পেঁয়াজ ১৮৫ টাকা আর ভারতীয় পেয়াজ ১৫৫ টাকায় ক্রয় করে কিভাবে তারা কর্তৃপক্ষের দামে বিক্রি করবে তা বুঝে আসে না। পরিবহণ ব্যয় আর দোকান ভাড়া মিলিয়ে যদি লাভ না থাকে তবে এখানে পেঁয়াজ বিক্রি করা যাবে না।
আরেক ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়া জানান, প্রতি সপ্তাহে আমি ৫০০ বস্তা পেঁয়াজ সরবরাহ করে থাকি, সেই জায়গায় এ সপ্তাহে পেয়েছি ১০০ বস্তা। তাও আবার বেশি মূল্যে কিনে আনতে হয়েছে। আমরা বাজারমূল্যে আনি বাজারমূল্যে বেচি।
গত একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১২০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য বাজারে দেখা মিলছেনা দেশি পেঁয়াজ। যেখানে দৈনিক ৩০০ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ডুকত, সেখানে তা শূণ্যের কোঠায়। তাই বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।
জানা গেছে, ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে রপ্তানি বন্ধের পদক্ষেপ নেয় দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। তবে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য যদি কোনো দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানায়, তাহলে তা বিবেচনা করবে সংস্থাটি।