নিজস্ব সংবাদ দাতা: নারায়নগন্জের আড়াই হাজার থানার বান্টি বাজার হতে অপহৃত তিন ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি আজও। গত ২ জুন একই দিনে একই সময়ে তাদেরকে বান্টি বাজার হতে টয়েটা হাইয়েস গাড়ী নিয়ে আসা ১২/১৩ জনের একটি সংঘবদ্ধ মুখোশধারী চক্রের সদস্যরা অপহরণ করে একটি মোটর সাইকেল সহ তাদের তিনজনকে তোলে নিয়ে যায়।
অপহরনের শিকার তিনজন হলেন আড়াই হাজারের পাঁচরুখী নয়াপাড়া গ্রামের মোঃ নোমান, পিতা- সারোয়ার আলম, ও নোমানের চাচাত ভাই মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ নাসিম। অপরজন হলেন পাঁচরুখী বাজার জামে মসজিদের ইমাম মোঃ শহীদুল ইসলাম। তিনি বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার পশ্চিম টেকনী গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২ জুন সকাল আনুমানিক ১০:৫৩ ঘটিকায় অপহৃত মোঃ নোমান বান্টি বাজার হতে ব্যাবসার জন্য ওড়নার গ্রে কাপড় কিনে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সায় করে পাঁচরুখী এলাকার একটি ডাইংএ পাঠায়। তারপর বাজার হতে ডাইং এর উদ্দশ্যে যেতে তার নিজস্ব মোটর সাইকেল (নং ঢাকা মেট্রো ল -৫০-৯০০২) নিয়ে রাস্তায় উঠলে একটি টয়েটা হাইয়েস (নং- ঢাকা মেট্রো চ -৫৩-৪০০৯) হতে নেমে ৭/৮ জনের একটি মুখোশধারী দুষ্কৃতকারী দল নোমানের কাছ হতে মোটর সাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেয় এবং একই গ্রুপের অপরাপর ৪/৫ জন মিলে মোটর সাইকেল সহ নোমান ও তার চাচাত ভাই নাসিম এবং ইমাম মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ তিনকে টয়েটা হাইয়েস গাড়িতে জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এবং ঘটনার পর হতে অপহৃতদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, ঘটনার সময় তাদের উদ্ধার করতে মার্কেটের লোকজন এগিয়ে আসলেও উদ্ধার সম্ভব হয়নি। মার্কেটের সামনের ফটকের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতকারীদের দৈহিক আকার আকৃতি বুঝতে পারলেও মুখোশধারী হওয়ায় তাদের শনাক্ত করা যায়নি।
অপরদিকে, অপহরণের দীর্ঘ ২০ দিন পার হলেও তাদের কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে অপহৃতদের সন্ধানে সহযোগীতা চেয়ে অপহৃত মোঃ নোমানের পিতা সারোয়ার আলম গত ২২ জুন ঢাকার মহা পুলিশ পরিদর্শক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। সারোয়ার আলম
লিখিত আবেদনে তিনি অভিযোগ করেন, অপহরনের ঘটনার পর হতে তিনি পাঁচরুখী এলাকায় দায়িত্বরত র্যাব এর কাছে তিনজনের সন্ধানের বিষয়ে সহযোগীতা চাইলে তারা কোনো সহযোগীতা করেনি। আড়াই হাজার থানায় জিডি করতে গেলে তারাও তা গ্রহণ করেনি। শেষ পর্যন্ত তিনি মহা পুলিশ পরিদর্শক ঢাকা বরাবর সহযোগীতা চেয়ে আবেদন করেছেন।
আজ ০৩ জুলাই। ঘটনার ১ মাস পার হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি তাদের।
তাঁদের নিখোঁজের এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা একটি আতংক ও দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে।