1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narsingdir Awaaz : Narsingdir Awaaz
শিরোনাম : :
মাধবদীতে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন ও জলবায়ু পরিবর্তন সভা অনুষ্ঠিত রিক এর আয়োজনে আন্তর্জাতিক সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবসে র‍্যালী অনুষ্ঠিত মাধবদী পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডে জামায়াতের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত মাধবদীতে নতুন ঠিকানায় রাধুনী রেস্টুরেন্ট মাধবদীতে ওসমান হাদির উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত রিক এর আয়োজনে আয় নিরাপত্তার দুই দিন ব্যাপী পুনঃপ্রশিক্ষণ নির্বাচনী সভায় বিএনপির হামলার প্রতিবাদে মাধবদীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ভগিরথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন  নরসিংদীর মাধবদীতে ৯৪ ব্যাচের পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

মাধবদীতে নীলা ডাইং শ্রমিক নেজামুল হত্যাকান্ডে দু-জন গ্রেফতার।

  • আপডেট সময়: বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৯২ জন দেখেছেন

সুমন পালঃ
মাধবদীর ভগিরথপুরে নীলা ডায়িং কারখানায় নেজামুল ইসলাম ওরফে নাজমুল (৩৫) নামের শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই শ্রমিককে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতার করে সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর আদালতে তোলা হয়। এর মধ্যে একজন হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার দুজন জানান, রঙের ড্রাম খোলার ধাতব যন্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর তাঁর লাশ টেবিলের ওপর উপুড় করে ফেলে রেখে যান তাঁরা।
রোববার ভোর চারটার দিকে রাতের শিফটে কাজ চলার সময় সদর উপজেলার মাধবদীর ভগীরথপুর এলাকার নীলা ডায়িং প্রিন্টিং ও ফিনিশিং মিলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে সকাল ১০টার দিকে মাধবদী থানার পুলিশ ওই কক্ষ থেকে নেজামুলের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ৯ জন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত নেজামুল ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চুডবাজার এলাকার নেহালিয়াকান্দা গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি চার বছর ধরে ডায়িং কারখানার রং ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে হত্যার ঘটনায় রোববার রাতেই মামলা করেন নেজামুলের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম।
এ মামলায় দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের বাইনগর গ্রামের জহিরুল মিয়া (২৫) ও নেত্রকোনার কেন্দুয়ার পাড়াতলী গ্রামের আবুল কালাম (২২)। জহিরুল মাধবদী আমলি আদালতের বিচারকের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা দুজনই কারখানাটির রং মাস্টার।
পুলিশ বলছে, লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হয়। ওই সময় নেজামুলের কক্ষে কারা কারা আসা-যাওয়া করেছেন, তা শনাক্ত করা হয়। তবে কে বা কারা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত, তা জানা যাচ্ছিল না। কারণ, তাঁর কক্ষটি ছিল সিসিটিভি ক্যামেরার আওতামুক্ত। পরে ওই কক্ষে আসা-যাওয়া করা রাতের পালার মোট ৯ জন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। গতকাল দিনভর ও রাতভর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখালে একপর্যায়ে ওই দুজন হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে জানান, দুজন মিলে রং ইনচার্জকে হত্যা করেছেন। বাকি সাতজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হই। কারখানার রং ইনচার্জের দায়িত্ব পেতে নেজামুলকে পরিকল্পিতভাবে রঙের ড্রাম খোলার ধাতব যন্ত্র দিয়ে ওই দুজন মিলে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর লাশ টেবিলের ওপর উপুড় করে রেখে তাঁরা দুজন অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ে যাওয়ার বিষয়টি তাঁরা বুঝতে পারেননি।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ নরসিংদীর আওয়াজ
Site Customized By Rahat IT Ltd.