প্রতিনিধি নরসিংদী :
নরসিংদীর মাধবদী থানাধীন আলী শিকদার (৫০) নামে ৭ সন্তানের জনক এক মাছ ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি পেটা করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৭আগস্ট) বিকেল তিনটার দিকে নরসিংদীর পুরানচর এলাকার গোপালদী আশ্রমের পূর্ব পাশের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আলী শিকদার (৫০) নরসিংদীর চরাঞ্চলের চরদীঘলদী ইউনিয়নের চরদীঘলদী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ এর ছেলে। বর্তমানে তিনি নরসিংদী সদর হাসপাতালের বিছানায় আঘাতের যন্ত্রনায় ছটফট করছেন।
সরেজমিনে নরসিংদী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডের ৪ নং বেডে শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ও সেলাই নিয়ে ব্যাথার যন্ত্রনায় ছটফট করছেন আলী শিকদার।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান,৭০ হাজার টাকা নিয়ে গোপালদী বাজারে গিয়ে সেখান থেকে ৩০হাজার টাকার মাছ ধরার জাল কিনে স্পীডবোট যোগে গ্রামের বাড়ি চরদীঘলদীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গোপালদী আশ্রমের কাছে পৌঁছলে আমাদের গ্রামের জসিমের ছেলে ফারুক ওরফে বুলেটের নেতৃত্বে,আমির হামজা ও মৃত নাসিরের ছেলে উজ্জ্বলসহ প্রায় ২৫/৩০ জন লোক ২টি ট্রলার যোগে এসে আমার গতিরোধ করে স্পীডবোট থেকে টেনে-হিচড়ে নামিয়ে পিঠে,পাজরে,হাতে উপর্যুপুরি হাতুড়ি পেটা করে আমার সঙ্গে থাকা ৪০ হাজার টাকা ও ক্রয়কৃত জাল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এসময় তাদের অমানবিক অত্যাচারে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
আহতের ছোটভাই জয়নাল মিয়া(জনু) বলেন,জসিমের ছেলে ফারুক ওরফে বুলেটের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনে মিলে আমার ভাইকে হাতুড়ি ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে টাকা পয়সা ও মাছ ধরার জাল ছিনতাই করে নিয়ে আমার ভাইকে মৃত ভেবে গাজীপুরা এলাকায় নদীর তীরে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে গোপালদীর স্থানীয় জনৈক নুরুল ইসলাম এর সহযোগিতায় প্রত্যক্ষ দর্শীরা আমার ভাইকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে আমার ভাই যন্ত্রণায় ও আতঙ্ক অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
ভাই কিছুটা সুস্থ হলে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও’র কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
আলী শিকদারের চিকিৎসক ডাঃ খালেকুজ্জামান এমবি বিএস, এফসিপিএস (সার্জারি) কে হাসপাতালে না পেয়ে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।