সুমন পালঃ
মাধবদীতে ৩২তম বাৎষরিক শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে অন্যান্য পুজা এবং তিথি নির্ধারিত হয় চন্দ্রের গতির উপর নির্ভর করে। কিন্তু বিশ্বকর্মা পুজা নির্ধারিত হয় সূর্যের গতি নির্ধারণ করে। বিশ্বকর্মা পূজা নির্ধারিত হয় সূর্যের গতি নির্ধারণ করে। সূর্য রাশি পরিবর্তন করে সিংহ রাশি থেকে কন্যা রাশিতে গমনের দিনে হয় বিশ্বকর্মা পুজা। সনাতন ধর্মে বিশ্বকর্মা হলেন দেবশিল্পী। স্থাপত্য, শিল্প, সৃষ্টি ও নির্মাণই হল তাঁর কাজ। বিশ্বকর্মা পূজা বিশেষত শিল্প, কারিগর এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সংযুক্তদের জন্য। ভগবান বিশ্বকর্মার পূজা করলে ব্যবসা-বাণিজ্যে বৃদ্ধি হয়। জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। বিভিন্ন কারখানা, অফিস, বাড়িতে যাদের গাড়ি ও অন্যান্য মেশিন আছে এবং বিভিন্ন নির্মাণ স্থানে বিশ্বকর্মার পূজা সর্বাধিক প্রচলিত। কাজের ক্ষেত্রে শ্রী বৃদ্ধির জন্য বিশ্বকর্মার পুজা করা হয়। বিশ্বকর্মাকে যন্ত্রের দেবতা মনে করা হয়। তাই বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে যন্ত্রপাতি, নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত মেশিন, দোকান, কারখানা ইত্যাদির পুজা করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মাধবদী পৌরসভা স্বর্ণ শিল্প সমিতির সভাপতি কমল মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দু আঢ্য এর আয়োজনে মাধবদী বাজার স্বর্ণ পট্রিতে শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আরো উপস্থিত ছিলেন শংকর সাহা, রাধেশাম মল্লিক, ঝুটন বিশ্বাস, অসীত পাল, স্বপন ভৌমিক, গৌতম নন্দী, প্রাণ গোপাল মল্লিক, চন্দন মল্লিক, প্রদীপ মিত্র, কৃষ্ণ সূত্রধর, ফনী গোপাল মল্লিক, কৃষ্ণ চক্রবর্তী সহ বাজারের সনাতন ধর্মের শতাধিক ব্যবসায়ী শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা দেবের চরণে পূষ্পার্ঘ নিবেদনের মধ্য দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য ও জীবনে সুখ শান্তি কামনা করেন।