২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আত্মীয়তার বন্ধন সংগঠনের উদ্যোগে দর্গাবাড়ির পুকুর পাড়ে খালি মাঠে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইফতার মাহফিলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,আত্মীয়তার বন্ধন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, ডাক্তার আ.ফ.ম ইউসুফ নকীব। আত্মীয়তার বন্ধন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আত্মীয়তার বন্ধন সংগঠনের সভাপতি উবায়দুল্লাহ মীর এবং পরিচালনায় ছিলেন,মোহাম্মদ কাজী সাব্বির ও আব্দুল লতিফ আরো উপস্থিত ছিলেন,আত্মীয়তার বন্ধন সংগঠনের সহ সভাপতি আব্দুর রশিদ নকীব সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল নকীব,কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সালাম মিয়া ,আব্দুল হক মীর,আব্দুল মুকিত নকীব ,মাওঃ আব্দুল আজিজ নকীব,কাজী আরমান,কাজী হোসাইন,মাওঃ ইকবাল কবির,আম্মার,উমায়ের,ইয়াকুব শরীফ ,হাফেজ কারী বেলায়েত হোসেন,ফাহিম আহমেদ সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ থাকে যে মাধবদীতে অবস্থানকারী আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে গত দুই বছর আগে এই সংঘঠন গঠিত হয়েছে, সংগঠনের উদ্দেশ্য হলে মাধবদীতে অবস্থানকরী আত্মীয় স্বজনদেরকে একত্রিত করা এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখা ও একে অপরের আপদ বিপদে এগিয়ে আসা। আজ বড়ই পরিতাপের বিষয়, আমাদের সমাজের অনেক মুসলমানই পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য ও আত্মীয়-স্বজনের অধিকার সম্পর্কে একেবারেই অসচেতন। তারা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মিলনের সেতুবন্ধকে ছিন্ন করে চলছেন। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, আমার আত্মীয়রাই তো সুসম্পর্ক বজায় রাখছেন না। আমি একাই এর জন্য দায়ী নই। কিন্তু এ বক্তব্য তাদের কোনো উপকারে আসবে না। কারণ যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখবে, শুধু তার সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে- হজরত যুবাইর বিন মুতইম (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আত্মীতার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ’ -বুখারি ও মুসলিম
অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আত্মীয়তা আল্লাহতায়ালার সামনে দাঁড়িয়ে বলল, আমাকে বিচ্ছিন্ন করা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনার সময় এটা। আল্লাহতায়ালা বলেন, হ্যাঁ, তবে তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও, যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখব এবং যে তোমাকে ছিন্ন করবে আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করব? শুনে আত্মীয়তা বলল অবশ্যই। তখন আল্লাহতায়ালা বললেন, তোমার জন্য এরূপই করা হবে। -বুখারি ও মুসলিম