সুমন পালঃ নারী শিক্ষার উপর বরাবরই মাধবদী পৌর মেয়র হাজী মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক জোড় দিয়ে আসছে। সেই প্রেক্ষিতে মাধবদী পৌর এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। তারপরও কোন বখাটে যদি রাস্তায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়।
ফাতেমা একজন মাদ্রাসা ছাত্রী। তার মা কারখানায় কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালায়। টাকার অভাবে ঠিকমত মাদ্রাসার বেতন দিতে না পারায় ফাতেমাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বাধসাদে ফাতেমা পড়াশোনা করবেই এই সাহস ও আশা নিয়ে মাধবদী পৌরসভায় এসে পৌর মেয়র মানিককে সবকিছু জানালে তৎক্ষণাৎ মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেন আজ থেকে তিনি ফাতেমার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক ফাতেমার পরনের বোরকা, মোজা, জুতা সবকিছুই পরিত্যক্ত ও ছিঁড়া এমন অবস্থা দেখে নগদ টাকা দিয়ে বললেন ফাতেমার সবকিছু এই মূহুর্তে কিনে দেওয়ার জন্য। ফাতেমাকে তার পছন্দমত বোরকা, হাত ও পায়ের মুজা, জুতা, স্কুলের ব্যাগ, গাইডসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু কিনে দেওয়া হয়।
ফাতেমা বলেন মাধবদী পৌরসভার জননন্দিত পৌর মেয়র ও মাধবদী শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক সাহেবের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন উনাকে সবসময় সুস্থ এবং ভালো রাখেন এবং এমন করেই অসহায় ফাতেমাদের পাশে থাকার তৌফিক দান করেন। ফাতেমা আরো বলেন জনপ্রতিনিধি হলে এমনই হওয়া উচিত ঠিক আমাদের মাধবদীর গর্ব পৌর মেয়রের মত।
##
সুমন পাল