নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদী সদর উপজেলায় এক স্বামী পরিত্যক্তা পাওয়ারলুম শ্রমিক ও রায়পুরায় এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। আর এসব ঘটনায় এপর্যন্ত ৪জনকে গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছি পুলিশ।
নরসিংদী সদর উপজেলায় স্বামী পরিত্যক্তা এক পাওয়াররুম শ্রমিককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাইক্রোবাসে কওে গণ ধর্ষন করেছে তিন যুবক। এ ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ ৩অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট) সন্ধায় সদর উপজেলার চিনিশপুর পশ্চিমপাড়া বেলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো: কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার গুজাদিয়া এলাকার মোমেন মিয়ার ছেলে বর্তমানে নরসিংদী শহরের বাসাইলের বাসিন্দা মিজান মিয়া (আরিয়ান) (২০), নরসিংদী শহরের বাসাইল মহল্লার রহমত উল্লাহর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৪) ও পলাশ উপজেলার ধানারচর এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৪)।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, পাওয়ারলুম শ্রমিক স্বামী পরিত্যক্ত ও ১ সন্তানের জননী ওই নারীর সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় মিজান নামে এক যুবকের। সেই সূত্রে মঙ্গলবার ভেলানগর বাসস্ট্যান্ডে দেখা করে তারা। পরে অটো রিকশায় চিনিশপুর বেলতলা যায় তারা দুজন। এসময় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে একটি মাইক্রোবাসে নারীকে। তারপর দরজা বন্ধ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মিজান। এরপর সাইফুল ও সোহাগও তাকে ধর্ষন করে। ধর্ষণ শেষে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে মাইক্রোবাসে চলে যায়।
ঘটনার বিষয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর জানান, পঞ্চগড় জেলায় বাড়ি বর্তমানে নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া মহল্লার কুমিল্লা কলোনীতে বসবাসরত এক নারী সদর মডেল থানায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। নির্যাতিত নারীর দেয়া তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থান হতে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে ঘটনার সাথে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসটি উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় নরসিংদী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মিজান ও সোহেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।