নরসিংদী প্রতিনিধি:
করোনার প্রার্দুভাবের এই কঠোর লকডাউনে সারাদেশের মতো নরসিংদীতেও ক্রমাগত দিন দিন আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনাক্রান্তের সংখ্যা। ফলে স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে সেবা না পেয়ে ছুটছেন ঢাকামুখী। কিন্তু সেখানেও পর্যাপ্ত পরিমানে সিট না পাওয়ায় অনেকইে মেঝেতে সেবা গ্রহণ করছেন অনেকে। আবার অনেকেই করোনারোগীর মৃত্যুকে সাধারণ মৃত্যু হিসেবে ঘোষনা দিয়ে সামাজাকিভাবে দাফন কাফন সম্পন্ন হচ্ছে।
এভাবে করোনাক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসনের অবহেলা আর গাফিলতিকে দায়ী করছেন সচেতন মহল।
সারাদেশের ন্যায় পলাশেও করোনাক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা স্বীকার করে এর জন্য নিয়মিত প্রশাসন কাজ করছে বলে জানালেন প্রশাসনের কর্মকর্তা। অন্যদিকে নমুনা বেশী সংগ্রহ করার ফলে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশী হচ্ছে বলে জান লেন স্থাস্থ্য বিভাগ।
ঈদের পর সরকারী নির্দেশনায় দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষনা দিলেও স্থানীয় পর্যায়ে পলাশে চলছে ফুটবল, হা-ডু-ডু খেলা। চলছে শত শত লোক সমাগমের মাধ্যমে সামাজিক আচার অনুষ্ঠানও। শুধু তাই নয় বাজারের নির্ধারিত দিন ছাড়াও চলছে সাপ্তাহিক কাপড়ের মেলা। এছাড়া ঘটনা করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে, জন্মদিন, জানাজা নামাজ ও মিলাদ মাহফিলতো থাকছেই। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে বাজারের আড্ডাখানাস্থল চা স্টল দলীয় কার্যালয়ে চলেছে আড্ডাবাজিও। এবিষয়ে প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে। যারফলে মহামারির এই দু:সময়ে অনেকটাই আতঙ্কিত জনগণ।
স্থাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে পলাশে এপর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭জনের। মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৮ হাজার ৮শত ৯০ জনের। এরমধ্যে এপর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১হাজার ১শত ৩৩জন। সর্বশেষ ১ আগষ্টের ফলাফলে পলাশে ১৮ জন, ৩১ জুলাই তারিখের ফলাফল ৫৭জন ৩০ তারিখের ফলাফলে ১২জন , ২৯ তারিখের ফলাফলে ৪৯জন ও ২৮ তারিখের ফলাফল ১৯জন আক্রান্ত হয়েছে। মাত্র ৪টি উপজেলা ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিক এ পলাশ উপজেলা।
এবিষয়ে সচেতন মহল মনে করেন প্রশাসনের অবহেলায় এভাবে সামাজিক মিলনমেলার কেন্দ্রস্থলগুলোতে মানুষের মেলা-মেশার কারনে আক্রান্ত আরো বেশী হওয়ার সম্ভাবনা বলে মনে করছেন। এছাড়া যেখানে বেশী কাজ করার দরকার সেখানে কাজ হচ্ছেনা।
অপরদিকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান আকন্দ জানিয়েছেন, পলাশে নমুনা বেশী হচ্ছে তাই আক্রান্তের সংখ্যাও বেশী। তবে এবিষয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আফসানা জানিয়েছেন, সারাদেশের মতো পলাশেও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রশাসন এনিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া জনসমাগম ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা এড়িয়ে যান।
করোনার এই সময়ে প্রশাসনকে আরো বেশী সচেতন হয়ে কাজ করার পাশাপাশি জনগনকেও স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।