1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narsingdir Awaaz : Narsingdir Awaaz
শিরোনাম : :
মনোহরদীতে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন  নরসিংদীর মাধবদীতে ৯৪ ব্যাচের পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত নরসিংদীতে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা রোধে WAVE প্ল্যাটফর্ম গঠিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী এবং ফ্যাসিবাদীর সঙ্গে জড়িত এমন কোনো ব্যাক্তিকে বিএনপির সদস্য করা যাবে না………………………… রুহুল কবির রিজভী। মাধবদীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত মাধবদীতে জামায়াতের এমপি প্রার্থী ইব্রাহিম ভূইয়ার গণসংযোগ কাজী সোহরাব আলী ফাউন্ডেশন কর্তৃক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ মাধবদীর চৌয়া দারুল হুদা মাদ্রাসায় আলিম শ্রেনী চালু করা প্রসঙ্গে মত বিনিময় সভা। মহিষাশুড়া ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশ মাধবদী প্রেসক্লাবের নির্বাচন-২৫ এর তফসিল ঘোষণা

মাধবদীতে বৃদ্ধার ও তার বাড়ি-ঘরে হামলার অভিযোগ

  • আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩০০ জন দেখেছেন

প্রতিনিধি নরসিংদী : মাধবদীতে ঈমান আলী(৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে আহত করে ঘরে থাকা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার (৩৫),সেলিম মিয়া (৩০) ও মিজানুর রহমান (২৮) নামে আপন তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মাধবদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাত দুইটার দিকে নরসিংদীর মাধবদী থানাধীন বলভদ্রদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২ টার দিকে বলভদ্রদী গ্রামের মৃত ছুবান মিয়ার ছেলে আব্দুস ছাত্তার (৩৫),সেলিম মিয়া (৩০) ও মিজানুর রহমান (২৮) নামে আপন তিন ভাই মিলে পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ একই এলাকার মৃত জমির আলীর ছেলে মোঃ ঈমান আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা প্রতিবেশী ঈমান আলীকে বেদম মারধর ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে নগদ দুই লক্ষ টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।এসময় তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে এব্যাপারে কারো সাথে মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা এসে আহত ঈমান আলীকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় পরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি তার বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহত ঈমান আলীর মাথা ও গালের বাম পাশে চাপাতির কোপের গভীর ক্ষতে আটটির অধিক সেলাইসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কারণে ব্যান্ডেজ করে রাখা হয়েছে।
আহত ঈমান আলী জানান, ঘটনার দিন রাতে বাহিরে কোন কিছুর উপস্থিতি টের পাই। সাথে সাথে আমি টর্চ লাইট নিয়ে বের হয়ে প্রতিবেশী ছাত্তারকে দেখতে পাই। আমি তার পিছু পিছু ডাকতে ডাকতে বাড়ির বাহিরে চলে যাই। এসময় সে তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। পরে তার সাথে তার ভাই সেলিম,মিজানসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন লোহার রড ও চাপাতি দিয়ে আমাকে কুপিয়ে জখম করে। আমার ছেলেরা প্রবাসে থাকে বিধায় বাড়িতে শুধু আমি ও আমার স্ত্রী দুজনে বসবাস করি।
আমার চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী হনুফা বেগম এগিয়ে আসলে তারা আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে এবং তার গলায় থাকা একভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও বিল্ডিং নির্মানের জন্য ব্যাংক থেকে তুলে এনে ঘরে রাখা ২ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরে প্রতিবেশীর এসে আমাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এঘটনায় মাধবদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার উপর হামলা, লুটপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচারের জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী বলেন,সাত্তার,মিজান ও সেলিম তারা রাজ মিস্ত্রির কাজ করে। তারা তিনভাই খুবই উগ্র স্বভাবের।
তারা প্রায় সময়ই বিভিন্ন ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়।
তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলেই তার বিরুদ্ধে শত্রুতা করে।
এব্যাপারে জানতে বিবাদীদের বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত তিনজনের কাউকেই পাওয়া যায় নি।
অভিযুক্ত ছাত্তার মিয়ার স্ত্রী শাহিনা আক্তার তার স্বামী ও দেবরদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এব্যাপারে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে কিন্তু টাকা পয়সা ও গহনা লুটপাটের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধবদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) মোঃ এনামুল হক শিমুলের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তনাধীন অবস্থায় রয়েছে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ও জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ নরসিংদীর আওয়াজ
Site Customized By Rahat IT Ltd.