1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narsingdir Awaaz : Narsingdir Awaaz
শিরোনাম : :
মাধবদীতে মরহুম আব্দুল করিম স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত মাধবদীতে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত মাধবদীতে আদালতের রায়ে জমির দখল হস্তান্তরে বাঁধা বিবাদী পক্ষের মহা সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাধবদী থানা ও পৌর শাখার গণসংযোগ নরসিংদীতে পিএফজির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত টাকা না দেওয়ায় মালিককে মারধর মাধবদীতে জমাতায়াতের এমপি প্রার্থীর গনসংযোগ মাধবদীতে আশিকুর রহমান পাভেল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অসহায়দের মধ্যে খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ নিখোজের ৪০ ঘন্টা পর বালু নদী থেকে শান্তর লাশ উদ্ধার মাধবদীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কিশোরীর অবস্থান

মাধবদীর কামারচরে জোরপূর্বক প্রতিপক্ষের জমির গাছ কর্তন , আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাটি ভরাট।

  • আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৯০ জন দেখেছেন

মাধবদী নরসিংদী নরসিংদীঃ মাধবদীর পাঁচদোনা ইউনিয়নের কামার চরে জোরপূর্বক জমির শতাধিক গাছ কর্তন সহ জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তির পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

এঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে ভুক্তভোগী পরিবার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং ১২৮/২০২৩।

কিন্তু প্রতিপক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে মাটি ভরাট ও ইট দিয়ে ইমারত নির্মাণ করতে যায়। ভুক্তভোগী পরিবার এতে বাঁধা দিলে তারা বাঁধা অমান্য করে তাদের কাজ চালিয়ে যায় এবং বলে আমরা চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাজ করছি।

পরে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহযোগিতায় কাজ বন্ধ হয়।

রবিবার(৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীর কামারচরে এঘটনা ঘটে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি)এব্যাপারে জানতে সরেজমিনে কামারচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় জমির একপাশে শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলে রেখে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।অপরদিকে জমিতে কাজ করার জন্য ইট এনে রাখা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়,নরসিংদী সদর থানার আসমানী মৌজার এস এ ৩৯ নং খতিয়ানে ৪ দাগের যাহার আর এস ৬৪ নং খতিয়ানে ১০ আনা হিস্যায় সাফিজ উদ্দিন এবং ৬ আনা হিস্যায় সপিয়া বিবির ১০ নং দাগে ১৬ শতাংশ জমি লিপিবদ্ধ হয়।

মফিজ উদ্দিন মৃত্যুর পর তার ছেলে জয়নাল আবেদীন ও আব্দুস সাত্তার ৪ শতাংশ করে ৮ শতাংশ এবং মেয়ে মাফিয়া ২ শতাংশ জমির মালিক হয়। পরবর্তীতে বিগত ১৬-১১-১৯৭৮ সালে ৯১৬১ নং দলিল মূলে ২.৭৫ ও বোনের কাছ থেকে আপোষ বন্টনে প্রাপ্ত ১ শতাংশ সহ মোট ৭.৭৫ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন গাছপালা রোপণ করে ভোগদখল করে আসছে।

কিন্তু বিগত ২৮ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টার দিকে মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মোঃ আলতাফ হোসেন, মোঃ আলম হোসেন, মোঃ আওলাদ হোসেন ও মোঃ আমির হোসেন কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রথম পক্ষকে জমি থেকে বেদখলের চেষ্টা করে। পরে তাদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে। পরে একই দিনে প্রথম পক্ষ ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৫ ধারায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আসামি পক্ষ সাময়িক নিবৃত হলেও গত রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পুনরায় জোরপূর্বক জমিতে মাটি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের পাঁয়তারা শুরু করে।

ভুক্তভোগী মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমার ভাতিজারা মিলে আমার পৈত্রিক ওয়ারিশ ও ক্রয়কৃত জমি দখলের পাঁয়তারা করছে। এ নিয়ে তাদের সাথে আমার বিরোধ চলে আসছে। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের স্মরনাপন্ন হলে চেয়ারম্যান আমাদের কাগজপত্র পর্যালোচনা না করে তাদের পক্ষ অবলম্বন করে একতরফা রায় প্রদান করেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশে তারা আমার জমির শতাধিক কলাগাছ কেটে মাটি ভরাট শুরু করে।

আমি উপায়ন্তর না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু তারা আদালতের বাঁধা উপেক্ষা করে কাজ করছে। এখানে যে কোন সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এব্যাপারে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দরজায় তালা দিয়ে তারা সটকে পড়ে।

এসময় অন্য এক আসামির বাড়িতে গেলে মহিলারা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে বিভিন্ন অশোভন আচরণ করে। তারা বলে এখানে কেন এসেছেন, আমরাতো আপনাদের থাকিনি, যখন ডাকব তখন আসবেন এখন ভাগেন। চেয়ারম্যান আমাদের জমি বুঝিয়ে দিয়েছে আপনারা তার কাছে যান।

পাঁচদোনা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, এবিষয়ে ইতোপূর্বে ও অনেক দেন দরবার হয়েছে।

সর্বশেষ প্রায় দেড় শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের সালিশির মাধ্যমে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রায় ঘোষণা করা হয়। সেই বিচারে চরদিঘলদী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শাহিন, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

তবে রায়ের পরবর্তী সময়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টি তার জানা নেই বলে ও জানান তিনি।

পাঁচদোনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইউসুফ বলেন, এবিষয়ে উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তাছাড়া যেহেতু এবিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে তাই আদালত রায় ঘোষণা না করা পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে। এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে ও জানান তিনি।

মকবুল হোসেন মাধবদী নরসিংদী

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ নরসিংদীর আওয়াজ
Site Customized By Rahat IT Ltd.