1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narsingdir Awaaz : Narsingdir Awaaz
শিরোনাম : :
গ্র্যান্ড ইভেন্ট ‘জিপিএইচ মহারাজ দরবার’ অনুষ্ঠিত নরসিংদীর পলাশে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত মাধবদীর বাবুরহাটে কিশোরী হত্যার রহস্য উদঘাটন !! ৪ আসামী আটক মাধবদীতে নওপাড়া মডার্ন কিন্ডারগার্টেনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত চৌয়া দারুল হুদা ক্বওমী ও হিফজ মাদ্রাসার কমিটি গঠন কাজৈর ফ্রেন্ডস ক্লাবের আয়োজনে ইসলামী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা মাধবদী কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট এসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে অপ প্রচারের প্রতিবাদে প্রেস ব্রিফিং হৃদয় বাংলা ফুটবল প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত বালাপুর নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরষ্কার বিতরণ জাকির হোসেন ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন

যুবলীগ নেতা সোহেল শাহরিয়ারচক্রান্তের স্বীকার 

  • আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ১০৮ জন দেখেছেন
 নাসিম আজাদ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সোহেল শাহরিয়ার রানা একের পর এক চক্রান্তের স্বীকার হচ্ছেন। এরপরও তাকে মোটেও বিচলিত করতে পারেনি প্রভাবশালীরা। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম চাঁন মিয়া ও মৃত হামিলা বেগমের সন্তান সোহেল শাহরিয়ার রানা বর্তমানে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় বসবাস করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি ২০০৪ সালে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ কোর্স সম্পন্ন করেন। ছেলেবেলা থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সোহেল শাহরিয়ার রানা। তার মধ্যে- ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি সদস্য হিসেবে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদে ছিলেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর হাবিবুল্লাহ বাহার ইউনিভার্সিটি কলেজের নেতৃত্বে, এমনকি তিনি সেখানে ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি ২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় বছর নিষ্ঠার সঙ্গে বৃহত্তর মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ সামলেছেন। তিনি কানাডা গিয়ে ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত টরেন্টো সিটি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে রানা ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কানাড়া আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ সামলেছেন। এরপর দেশে ফিরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি একের পর এক সামাজিক সেবামূলক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করে রেখেছিলেন। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকটময় সময় থেকে শুরু করে প্রতি বছর রমজান মাসে সোহেল শাহরিয়ার রানা তার নিজস্ব অর্থায়নে রাজধানী ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষের বাসায় উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। বিতরণ করা খাদ্যসামগ্রীর তালিকায় ছিল- সবজীসহ চাল, ডাল, তেল, ছোলা, আলু, লবণ, সাবান ইত্যাদি। এছাড়া রমজানে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টের মানুষ যাতে বিনামূল্যে সবজি সংগ্রহ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করা ছিল। রাজধানীর যে কোন প্রান্ত থেকে অসহায় যে কেউ যোগাযোগ করলেই কয়েকটি টিমের মাধ্যমে তাদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানান সোহেল শাহরিয়ার। এর আগে এ টিমের মাধ্যমে হাজার খানেক পরিবারের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সোহেল শাহরিয়ার রানা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাইয়ের নির্দেশনায় নগরীর কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। মধ্যবিত্ত কিছু পরিবার খাবারের জন্য লাইনে দাড়াতে সংকোচ করে, ফোনকল বা মেসেজ পেলে আমার টিম তাদের বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিল। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ চেষ্টা চলতে থাকবে। এ দিকে রাজনৈতিক জীবনে একের পর এক চক্রান্তের স্বীকার সোহেল শাহরিয়ার রানাকে প্রতিনিয়ত শত্রু পক্ষের চোখ রাঙ্গানিকে মোকাবিলা করতে হয়। ক্ষমতার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে শত্রুদের একের পর এক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার স্বীকার হতে হয়েছে এই যুবলীগ নেতাকে। তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিএনপি -জামায়াত জোট সরকার ও ১/১১ সরকার। এসব দায়েরকৃত মামলায় আমি কমপক্ষে ২০ থেকে ২৪ মাস কারাগারে কাটাই। লগি-বৈঠা আন্দোলনের সময় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা হত্যা মামলায় আমাকেও ফাঁসানো হয় দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ও সরকার পতনের উদ্দেশ্যে লগি- বৈঠা আন্দোলনের সময় আমিও সকল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম। তিনি আরও বলেন, লগি-বৈঠা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং উক্ত হত্যা মামলায় আমাকেও আসামি করা হয়। পরবর্তীকালে ১/১১ সরকারের সময় সেই হত্যা মামলায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার নামও অন্তর্ভুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করা হয়। কানাডাতে অবস্থানের সময়ে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িত রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুদূর কানাডাতে গিয়েও আমি আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছি। এর ধারাবাহিকতায় আমি কানাডার টরেন্টো সিটি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কানাডা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হই। দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে থাকার কারণ হিসেবে এই রাজনীতিবিদ বলেন, যখন ক্যাসিনো খালেদের অনুপ্রবেশের বিষয়টি আমার নজরে আসে, তখন আমি এর সরাসরি বিরোধিতা শুরু করি। আর সে জন্যই আমি ধীরে ধীরে তাদের চক্ষুশূলে পরিণত হই। কিন্তু আমি মোটেও বুঝতে পারিনি যে, আমার বিরুদ্ধে তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। আমি যদি পূর্ব থেকেই বিষয়টি অনুধাবন করাতে পারতাম, তাহলে আমি ৬ মাস কেন, ৬ দিনের জন্য হলেও দেশের বাহিরে যেতাম না। জানা যায়, ওই সময়ে এক পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী তার ডান হাত ক্যাসিনো খালেদকে রাজনৈতিক লেবাস পরিয়ে তার অবৈধ কার্যক্রম হাসিলের জন্য নীল নকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালায়। কিন্তু আমি যতোদিন বেঁচে থাকবো বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হিসেবে কাজ করে যাবো।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ নরসিংদীর আওয়াজ
Site Customized By Rahat IT Ltd.