নাসিম আজাদ,পলাশ,নরসিংদীঃ"
আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার " এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মুজিব শতবর্ষে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ভিটে বাড়িহীন অসহায় হত-দরিদ্র মানুষ শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে মহা খুশি। তাদের কাছে যেন ঘরগুলো" স্বপ্নের ঠিকানা"। কিন্তু "স্বপ্নের ঠিকানা"য় তেমন ভালো কাটেনি কোরবানির ঈদের এই দিনটি। ২১ জুলাই বুধবার ঈদের দিন বিকেলে ঘুরে দেখা যায়,আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই নতুন ঘরে প্রথম কোরবানির ঈদ উদ্যাপন করছেন সুবিধাভোগীরা। অন্যের জমিতে বা বাড়িতে থাকা মানুষগুলোর ঈদের দিন ছিল অন্যবারের চেয়ে একটু আলাদা। নতুন বাড়িতে ঈদ উদ্যাপন করেছেন,নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
রহিমা বেগম নামের একজন জানিয়েছেন,আমদের কোন ঘর ছিলোনা প্রধামন্ত্রীর দেয়া ঘরে কোরবানির ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। আমাদের একটি স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে, সেই জন্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।
কাজল মিয়া ও হাবিবুর রহমান জানান, করোনার কারণে আমাদের কাজ নেই তাই আমরা গোস্তের ব্যবস্থা করতে পারিনাই।
গতকাল স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম গাজী আমাদের জন্য ঈদ উপলক্ষে চাউল,ডাউল,তৈল,সেমাই সহ ঈদ সামগ্রী দিয়েছেন। তাতে আমরা খুব খুশী।
ফাতেমা জানান, কোনদিন ভাবিনি নিজের ঘরে ঈদ করতে পারবো। চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম গাজী আমাদের দিকে খুব খেয়াল রাখে। তবে এই কোরবানির ঈদ উপলক্ষে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে আমাদের কোন খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি।
এবার সুমতো বেগম নামের একজন বাসিন্দা জানান, সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে ২ কেজি গোসত কিনে এনেছি ৫০০টাকা কেজিতে।মানুষের বাড়ি থেকে যারা অল্প অল্প গোসত চেয়ে এনেছে তাদের একজনের কাছ থেকে কিনেছি। সে আমার কাছে ২ কেজি বিক্রি করছে তার ঘরে চাউল ছিলনা বলে। কোরবানির ঈদে আমাদের জন্য গোস্তের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো।
এব্যপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম গাজী জানান, ঈদের আগের দিনই তাদের জন্য কিছু ঈদ সামগ্রী দিয়েছি। আগামী কোরবানির ঈদ থেকে গোস্তের ব্যবস্থাও করে দিব।