ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : মাধবদীর আমদিয়াতে নির্দিষ্ট সময়ের ৬ মিনিট পরে ঈদের নামাজ শুরু করার পরও ইমাম সাহেবকে লাঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে স্থানীয় ঈদগাহ কমিটির সভাপতির দ্বারা। এ নিয়ে ঈদগাহ মাঠে ও এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে সেই ঈদগাহ কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন পিন্টু।
উপস্থিত মুসল্লীরা জানায়, পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে মাধবদীর আমদিয়া ইউনিয়নের কায়েরবাড়ি কেন্দ্রীয় ঈদ-গাহের ঈদের নামাজের জামাতের সময় নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় মসজিদে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর উপস্থিত সমাজ ও এলাকার মুসুল্লীদের নিয়ে আলোচনায় বসে মসজিদ কমিটি। উক্ত আলোচনায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে ঈদ-উল আযহার নামাজে জামাত এর সময় নির্দিষ্ট করা হয় ঈদের দিন সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে।
সেই মোতাবেক আজ বুধবার(২১শে জুলাই) ঈদ -উল আযহার নামাজের জামাতে উক্ত ঈদগাহ কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন পিন্টু উপস্থিত হতে দেরী করলে তার উপস্থিতির জন্য অতিরিক্ত ৬ মিনিট অপেক্ষা করে সম্মানীত ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেব ও উপস্থিত মুসল্লীগণ।
এসময় নির্দিষ্ট সময়ের ৬ মিনিট (৭:৩৬ টা ) পার হতে লাগলেও ঈদগাহ কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন পিন্টু ঈদের নামাজে এসে উপস্থিত হননি। অবশেষে ৬ মিনিট পর (৭:৩৬) ঘটিকায় উপস্থিত মুসল্লীদের অনুমতিতে ইমাম সাহেব নামাজ শুরু করেন।
এদিকে, নামাজ শেষ হবার পর পরই ঈদগাহ কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন পিন্টু ও তার আরেক সহচর রমজান মিয়া ঈদগাহে এসে উপস্থিত হয়। জামাতে শরিক হতে না পেরে এ সময় নাসির উদ্দিন পিন্টু ও তার সহচর রমজান মিয়া ইমাম সাহেবের উপর চড়াও হয়ে চোঁখ রাঙ্গিয়ে প্রশ্ন করে যে- তাদের অনুপস্থিতিতে কেন নামাজ শুরু করল। কেনো তাদের জন্য অপেক্ষা করেনি ইমাম সাহেব। তার এমন প্রশ্নের উত্তরে ঈদ জামাত ও উক্ত সমাজের মসজিদের ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেব জানান, আপনার( পিন্টু মিয়ার) অপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ের ৬ মিনিট পর মুসল্লীদের অনুমতিতে নামাজ শুরু করেছি। আমিতো সময়ের আগে নামাজ শুরু করিনি। বরং ৬ মিনিট পরে শুরু করেছি।
একথা বলার পর ইমাম সাহেবের প্রতি আরো চড়াও হয়ে নামাজ পড়ানো শিখিয়ে দিবে, ইমামতি ছুটিয়ে দিবে, এসব বলে ইমাম সাহেবের গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে পিন্টু ও রমজান। তার এমন আচরনে ইমাম সাহেব কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। উপস্থিত অন্যান্য মুসল্লীগণ এসময় পিন্টুকে দুরে সরিয়ে দেয়। পিন্টুর এমন আচরনে সবাই হতবাক হয়ে যায়। অনেকেই প্রশ্ন তোলে, ঈদগাহ কমিটির সভাপতি বলে কি এতই পাওয়ার? হাজার হাজার মুসল্লী ও ইমাম সাহেব তার উপস্থিতির জন্য নামাজে দেরী করল অথচ তার কোন মূল্য নেই তার কাছে? তার জন্য কেন আরো সময় অপেক্ষা করা হলো না এজন্য সমাজের একজন ধর্মীয় নেতা তথা ইমাম সাহেবকে মুসল্লীদের সামনে এমন অপমান? এ ঘটনায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ উপস্থিত মুসল্লীদের অনেকে ঈদগাহ কমিটি হতে পিন্টুর বহিষ্কার দাবীও তোলেন।
অপর দিকে এলাকায় প্রচার রয়েছে পিন্টু বর্তমান আমদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি ও আসন্ন আমদিয়া ইউপি নির্বাচণে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ ইবনে রহিজ মিঠুর অত্যান্ত ঘনিষ্ট সহচর।