সুমন পালঃ গৃহবধু রিয়া মনি হত্যা প্ররোচনা মামলায় দুজনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। ঘটনার বিবরণে জানাযায়, নুরালাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বিরামপুর কালিবাড়ি এলাকার আলাউদ্দিন এর ছেলে জোবায়েরে সাথে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় গজারিয়া থানার গোসাইরচর গ্রামের রিয়া মনি’র। বিয়ের কিছুদিন পর জোবায়ের প্রবাসে পাড়ি জমায়। জোবায়েরের মা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে জীবন কাটাচ্ছে। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে শ্বশুর মোঃ আলাউদ্দিন, ননদ মোসা: রুমা, মামাতো ভাসুর মোঃ শামীম, ফুফু শ্বাশুড়ি মোসা: সাফিয়া বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে রিয়া মনিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত এবং মরে গিয়ে তাদেরকে মুক্ত করে দিতে প্ররোচনা দেয়। বিষয়টি রিয়ামনি তার পিতার বাড়ির লোকজনকে জানায়। তাদের এ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রিয়া তার বাপের বাড়ি চলে যায়। এরই মধ্যে রিয়া মনির কোল জুড়ে আসে একটি ছেলে সন্তান বায়জিদ(১০মাস)। হত্যাকান্ডের একমাস পূর্বে মেয়ের চাচা শ্বশুর জালাল মেয়েকে তার বাপের বাড়ি হতে শ্বশুর আলাউদ্দিন এর বাড়িতে নিয়ে আসে। শ্বশুড় বাড়িতে আসার পর আবারো শুরু হয় শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন। ঘটনারদিন গত ৫ অক্টোবর রিয়ামনি (১৮) আত্মহত্যা করেছে বলে তার পিতা আব্দুল হালিম কে জানায়। আব্দুল হালিম মেয়ের শ্বশুড় বাড়িতে পৌছালে তাকে জানানো হয় ঘরের ধরনার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে রিয়ামণি আতœহত্যা করেছে। সংবাদপেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। রিয়া মনির পিতা আব্দুল হালিম বাদি হয়ে উপরোক্ত চারজনের নাম উল্লেখ করে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ২৪অক্টোবর পুলিশ সামসুল এর ছেলে মো: শামীম(২৬) ও দুইদিন পর মৃত আ: সোবাহান এর ছেলে আলাউদ্দিন(৫০)কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।