নিজস্ব প্রতিনিধি:
পলাশ উপজেলা ও শিবপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া হাড়িধোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটা কাটার সময় লিখন সরকার নামে এক ভূমি দস্যুকে আটক করেছে জনতা। গত শুক্রবার সকালে পলাশ উপজেলার ধনারচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাড়িধোয়া নদীটি দীর্ঘদিন আগে সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন কাজ সম্পন্ন করার পরও একটি চক্র নদীর দুপারের কৃষকের জমি থেকে জোড় পূর্বক মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা জমি চাষাবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। এছাড়া দু পাড়ের রাস্তা সহ বিভিন্ন স্থাপনাও ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। এই অবস্থায় পাশ্ববর্তী মাঝেরচর গ্রামের মৃত নান্নু সরকারের ছেলে লিখন সরকার একাধিকবার নদী থেকে মাটি কাটতে ড্রেজার নিয়ে আসে। এই অবস্থায় লিখন সরকার তিনবার বেকু (মাটি কাটার মেশিন) নিয়ে নদীতে নামলে স্থানীয়রা তাকে বাধা দেয়। এতে ক্ষান্ত না হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নদী থেকে মাটি কাটা শুরু করে। এসময় স্থানীয় গ্রামবাসীদের গুলি করে হলেও মাটি কেটে নেয়ার হুমকি দিলে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে ভূমি দস্যুদের পাকড়াও করে। এসময় অন্যান্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও লিখন জনতার হাতে ধরা পরে। এই খবর পাওয়ার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া ও মহিলা সদস্য রাহেলা আক্তার অনু ঘটনাস্থলে এসে পলাশ থানা পুলিশকে খবর দেয়। পলাশ থানার এস আই শাহ আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লিখনকে হাতকরা পড়িয়ে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরও জানায়, গজারিয়া ইউনিয়নের নোয়াকান্দা গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে দিপু, কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে ফিরুজ মিয়া, চরনগরদী এলাকার শরিফ খন্দকার, মাঝেরচরের শামসুজ্জামান, ধরারচরের ফারুক মিয়া, গজারিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন, হাবিবুর রহমান, লোটন চৌধুরী ও মোতালিব এই ভূমি দস্যুতার পেছনে কাজ করে যাচ্ছে। এরা কেউ সমাজের প্রভাবশালী আবার কেউ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের হওয়ায় এলাকার কেউ কিছু বললেই তাদের মামলা ও হামলার হুমকি দেয়া হয়।