হুমায়ুন কবির নরসিংদী : নরসিংদীর রায়পুরার বিএনপি নেতা জামাল আহম্মেদ চৌধুরী নরসিংদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন,
তিনি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক ও জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন- আমি জামাল আহম্মেদ চৌধুরী,সাবেক সদস্য জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপির ও দুই বারের নির্বাচিত সভাপতি রায়পুরা উপজেলা বিএনপি। আমি দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ বিএনপি রাজনীতি তথা মহান স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস রেখে রাজনীতি করে আসছি। আমি ২০০৮ সালে ফখরুদ্দিন -মঈনউদ্দীন অধীনে চারদলীয় জোট তথা বিএনপি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নরসিংদী পাঁচ রায়পুরা আসনে নির্বাচন করি এবং প্রায় ৮২ হাজার ভোট পাই যা ঢাকা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট। কিন্তু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে আমি পরাজিত হই। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে সিলেট লং মার্চের সময় আমি মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে অবস্থান করি। কিন্তু আওয়ামী সরকারের হায়েনা বাহিনী আমাকে বেদম মারপিট করে যার কারণে আমার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং পরের দিন আমি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাই। দীর্ঘ চার মাস সিঙ্গাপুর চিকিৎসাধীন ছিলাম। সিঙ্গাপুরে চার মাস চিকিৎসার পর দেশে ফিরে আসি।কিছু দিন পর আমার হার্টের চারটি ব্লক ধরা পড়ে যার কারণে আবার ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বাইপাস সার্জারি করি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে। আমার কিছু রাজনৈতিক শূন্যতার কারণে আমার প্রতিপক্ষ আশরাফ উদ্দিন বকুল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হতে ধানের শীষের মনোনয়ন নিয়ে ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ২০,৪৩১ ভোট পেয়ে জামাত হারান। ২০২৩ সালে ০৮ ডিসেম্বর গণতন্ত্র রক্ষায় ভোটের অধিকার প্রয়োগের আহবানে আমি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেই যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঐ রাতেই আমাকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে সারা রাত নির্যাতন করে পরের দিন ঢাকা কোর্টে চালান দেয়। দীর্ঘ দুই মাস একুশ দিন কারাভোগের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাই। তারপরও বিভিন্ন আন্দোলনে আরও দুই বার কারারুদ্ধ হই। কারাগারে থাকাকালীন অবস্থায় আবারও হৃদ রোগে আক্রান্ত হই এবং আমাকে ডান্ডা বেরি পড়িয়ে কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকা হৃদ রোগ হাসপাতালে ভর্তি করে মেজেতে ফেলে রাখে। প্রায় ১৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফ্যাসিস্ট সরকার আমাকে একটি বেডের ব্যবস্থাও করে দেয়নি। চিকিৎসা শেষে আবারও আমাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১১ তম সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ আমাকে ধরার জন্য পিছু নিতে থাকে আমি বিভিন্ন জায়গায় আত্ম গোপন করে থাকি। হঠাৎ এক দিন রাতে আমি জমি বিক্রির আড়াই কোটি টাকা সহ আমার গুলশান বাড়িতে আসি। পরের দিন আমার ছেলে এবং মেয়ে কানাডায় পড়াশোনা করে ওখানে চলে যাওয়ার জন্য কিন্তু ঐদিন রাতেই ডিবি হারুন সহ প্রায় ৫০জন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন আমার বাসা ঘিরে ফেলে আমাকে গ্রেফতার করে এবং ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করে কোন অবস্থাতেই রাজি আমার চোখ ও হাত বেধে ও আমার পাসপোর্ট সহ আমার বাসা থেকে বের করে নিয়ে যায় দশ দিন পর উহাত-পা বাঁধা অবস্থায় আমাকে বিমানবন্দর নিয়ে এয়ার লাইন্সের একটি কেটে আমাকে সৌদি আরব পাঠিয়ে দেয় এবং বলে যে নির্বাচনের আগে আর বাংলাদেশে আসবি না। আমি আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়ায় যতদিন বেঁচে থাকব বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের সাথে আছি এবং থাকবো। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করে যাবো এর জন্য দোয়া করবেন আমার পাশে থাকবেন যতটুকু পারেন আমাকে সহযোগিতা করবেন।