ফজলুল হক মিলন:
গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে দশ ঘটিকায় নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমতি-১ এর বোর্ড রুমে চলমান লোড শেডিং এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় শীর্ষক নরসিংদী পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এর ভৌগলিক এলাকার সম্মানিত গ্রাহক সদস্য ও সুধীবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সমতি বোর্ডের সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম মিয়া। এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনাব আলহাজ্ব আবু ছালেহ চৌধুরী, নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট জনাব আব্দুল মোমেন মোল্লা, হৃদয় বাংলাদেশের সভাপতি সেচ্ছাসেবী ইঞ্জিনিয়ার মফিজুল ইসলাম, নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পরিচালক মোঃ কাজিম উদ্দীন আসাদুজ্জামান, জেলা বিএনপির সদস্য আঃ বাতেন শাহীন, নুরালাপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, সাপ্তাহিক খোরাক পত্রিকার সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম খোকন, সাপ্তাহিক জনতার চিন্তার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ হোসেন আলী, মাধবদী প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল হাসনাত মাসুম সহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, এলাকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সমাজ কর্মী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিগণ।
সভায় পল্লী বিদ্যুৎ সমতির কর্মকর্তাগণ সকলের আলোচনা মন দিয়েন শোনেন। সাংবাদিক ও সুধী জনের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার জনাব আবু বকর শিবলী, বিআরইবির প্রতিনিধি নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব নূর মোহাম্মদ মিয়া,ডিজিএম (মাধবদী) জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম,ডিজিএম (টেক) জনাব আবদুল্লাহ আল হাদী প্রমুখ।
উপস্থিত সুধীজন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেনারেল ম্যানেজার বলেন নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমতি-১ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ চাহিদা সর্বোচ্চ ১৭৮ মেগাওয়াট, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমতি-১ এর বিদ্যুৎ বিতরণের ক্যাপাসিটি রয়েছে ৩২০ মেগাওয়াট।
নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিতরনের সক্ষমতা বেশী থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি এবং ট্রান্সমিশন ও গ্রিড এর সীমাবদ্ধতার কারণে ঘাটতি দেখা দিলে বিতরনে সমস্যা দেখা দেয়। তাই ঘন ঘন লোডশেডিং হয়। তিনি আরো বলেন বিদ্যুৎ একটি জাতীয় সম্পদ। নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমতি-১ শুধু বিদ্যুৎ বিতরন করে গ্রাহক পর্যায়ে। জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ প্রাপ্তি সাপেক্ষে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমতি-১ বিদ্যুৎ বিতরণের কাজ করে। জাতীয় গ্রীড নিয়ন্ত্রণ করে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। বিদ্যুৎ ঘাটতি বা চাহিদা মত বিদ্যুৎ গ্রীড থেকে না পায়ার কারনে বর্তমানে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমতি-১ এর আওতায় কোন কোন সময় ৪০ হতে ৪৮% পর্যন্ত লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছি । জেনারেল ম্যানেজার জানান যে মাদধবদী সামিট ১১ মেঘাওয়াট চালু হলে এবং ঘোড়াশাল ২৩০/৩৩ কেভি জিআইএস গ্রীড উপকেন্দ্র চালু হলে লোড শেডিং অনেকাংশে কমে আসবে। এ ছাড়া আরো কিছু চলমান প্রকল্প রয়েছে এগুলোর কাজ শেষ হলে অল্প সময়ের মধ্যেই
লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে তারা জানান।