হুমায়ুন মিয়া নরসিংদী : নরসিংদীর রায়পুরাতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন রায়পুরা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও রায়পুরা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুস মিয়া।
রবিবার (০৮ সেপ্টেম্বর ২৪) বিকাল সাড়ে চারটায় রায়পুরা বাজারে আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার নিজস্ব অফিসে এই সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কুদ্দুস মিয়া সাংবাদিকদের বলেন -গত শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) কতিপয় আওয়ামী দালাল স্বৈরাচারের দোষর চিহ্নিত সন্ত্রাসী দানা মিয়া,হান্নান মোল্লা, রমিজ ফকির গংরা তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর সংবাদ সম্মেলন করে যা তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বিএনপি মনোনীত সাবেক দুইবারের মেয়র, সাবেক আহবায়ক রায়পুরা পৌরসভা বিএনপিসহ রায়পুরার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাংবাদিকদের তিনি আরও জানান যে, ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রায়পুরা বাজার জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি প্রসঙ্গে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত রায়পুরা পৌরসভার বিনা ভোটের মেয়রজামাল মোল্লার বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি ও রায়পুারা বাজার মসজিদের স্বঘোষিত সভাপতি আব্দুল লতিফ মোল্লা প্রায় ১৫/১৬ বছর যাবৎ দলীয় প্রভাব-ক্ষমতার বলে কোন মুসল্লী বা কাউকে তোয়াক্কা না করে একক ভাবে নিজের আধিপত্য বিস্তার করে কার্যক্রম চালিয়ে যাইতেছে এবংবিনা রশিদে মুসল্লিদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে। মুসল্লিরা জানতে পেরেছে তিনি আব্দুল লতিফ মোল্লা রায়পুরা বাজার মসজিদ ফান্ড থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। কেউ কোন হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে মামলার ভয় ও তাদের গ্যাং দ্বারা হুমকি-ধমকি দিয়ে থামিয়ে দেন। এমতাবস্থায় গত (০৫ আগস্ট, ২৪) স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর মসজিদের মুসল্লিগণ বিগত দিনের হিসাব নিকাশ নেওয়ার ও নতুন কমিটি করার প্রস্তাব করেন। গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর ২৪) জুম্মার নামাজে উক্ত মসজিদে রায়পুরা পৌর বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী মুন্সি ও তিনি সহ অনেক গণ্যমান্য উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত পল্লীগণের উদ্দেশ্যে নতুন কমিটি করার জন্য ইদ্রিস আলী মুন্সী প্রস্তাব করেন। এরই মধ্যে কিছু সংখ্যক মুসুল্লি নতুন কমিটি করার আগে পূর্বের হিসাব নিকাশ প্রদানের দাবি করেন। তৎক্ষণাৎ দানা মিয়া, হান্নান মোল্লা ও রমিজ গ্যাংরা সমস্বরে বলতে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ মোল্লা কে ছাড়া কোন কমিটি করতে দেওয়া হবে না এবং কোন হিসাব নিকাশ ও দেওয়া হবে না। পরে পরিস্থিতি শান্ত করত তিনি ও ইদ্রিস মোল্লা হস্তক্ষেপ করেন। আবদুল কুদ্দুস মিয়া আরও বলেন, তার তিনি যখন বিএনপির দলীয় প্রতিক নিয়ে মেয়র নির্বাচন করেন তখন উল্লেখিত ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী জামাল মোল্লার পক্ষে সকল প্রকার সহযোগিতা করেন। নৌকা পক্ষে ভোট চাওয়া, টাকা বিতরণ ও করেন যার স্বাক্ষী স্থানীয় লোকজন বলেও জানান। তিনি বলেন, তারা গত (৭ সেপ্টেম্বর ২৪) বিকাল বেলা তার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মানহানিকর সংবাদ সম্মেলন করে। তিনি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর জন্য ই আজকের সংবাদ সম্মেলন করেন। শহীদ জিয়া অমর হোক,খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জিন্দাবাদ বলে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।