সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ( মাধবদী- নরসিংদী প্রতিনিধি)
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যার প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে নদীর পানি।
হেলেনা বসবাস করে নরসিংদী সদর উপজেলা পাইকারচর ইউনিয়নস্থ ভংগারচর বেরিবাধ পুরাতন লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনানদীর তীরবর্তী এলাকায়।
চারিদিকে বর্ষার পানি থইথই ও মেঘনার ভয়ঙ্কর স্রোতের মধ্যেখানেই ২ মেয়ে আর স্বামী নিয়ে ছোট্ট একটি ঘরে ঠাঁই নিয়েছিলেন হেলেনা।
স্বামীর পেশা রিক্সাচালক,কিন্তু এখানেও দুঃখের বিষয় এই যে, গত কিছুদিন আগে মাধবদী জাল পট্টি মসজীদে রিক্সা রেখে নামাজ পড়তে গিয়ে, নামাজ থেকে বেরিয়ে দেখে রিক্সাটাও চোরে নিয়ে গেছে,একদিকে স্বামীর আয়ের মাধ্যম রিক্সা না থাকায় ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা, অন্যদিকে গত ১৯-ই আগস্ট সোমবার তাঁর ভিটেমাটিতে বসবাসরত ঘরটিও বাতাস আর মেঘনার জোয়ারের পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
তাঁর বসবাসরত ঘরটি ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া পাশ্ববর্তী প্রতিবেশি আলতাফ মিয়ার বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছে পরিবারটি।
আলতাফ আমাদের জানান,বাতাস ও জোয়ারের পানি হেলেনার ঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, আমার ছোট্ট ঘরে আপাতত তাঁকে ঠাই দিয়েছি,যতদিন পর্যন্ত তাঁর ঘরটি নির্মান করতে পারছেনা ততদিন তাঁরা আমাদের সঙ্গেই কষ্ট করে থাকবে।
স্থানীয় আরেক প্রতিবেশি মেহেরবানু যিনি পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত,তিনি আমাদের জানান, মেঘনার পানিতে হেলেনার ঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়াতে সে খুবই কষ্টে আছে, সে খুবই অসহায়, তাঁকে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিলে খুবই উপকার হবে পরিবারটির।
হেলেনা আমাদের জানান,আমার স্বামী রিক্সা চালায়,রিক্সাটাও চোরে নিয়ে গেছে, বর্তমান আমরা খাইতেই পারতেছিনা,ঘর তোলার মতো টাকা আমাদের নেই,আমরা আপনাদের কাছে, দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা চাই,আমাকে ২ টা মেয়ে আর স্বামী নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আপাতত থাকার ব্যবস্থা করে দিলে উপকার হবে আমার,ঘর তোলার মতো জায়গা আছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় মেম্বার বা চেয়ারম্যান কেওই সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি বলে তিনি আমাদের জানান।
তাঁকে সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগের ঠিকানা দিয়েছেন নরসিংদীর মাধবদী বাসস্ট্যান্ড থেকে মেঘনাবাজার বেরিবাধ এসে,ভংগারচর পুরাতন লঞ্চঘাটা বা স্টেশন বললে গ্রাম পুলিশ মেহেরবানুর বাসা বললেই সরাসরি তাঁকে পাওয়া যাবে, এছাড়াও গ্রাম পুলিশ মেহেরবানুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও আসা যাবে,যোগাযোগের মোবাইল নাম্বার ০১৮১৫২২৩৪৬৯