মনিরুজ্জামান,নরসিংদী: নরসিংদীতে রায়পুরা উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দেশরুপান্তর পত্রিকার রায়পুরা উপজেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামানকে গুলি করে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
এর বিচার চেয়ে বুধবার দুপুরে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে নরসিংদীর সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ।
মানববন্ধনে মনিরুজ্জামানের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবী জানান বক্তারা।
এসময় নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি মো. নুরুল ইসলাম, নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সমন্বয়ক ও মাধবদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন, নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম রিপন, সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভি নরসিংদী প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মনির, দৈনিক দেশ রুপান্তর ও দেশ টিভি'র জেলা প্রতিনিধি সুমন বর্মণ, মাধবদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মাধবদী থানা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাওন খন্দকার শাহিন, পলাশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আরটিভি জেলা প্রতিনিধি নুর আলম, শিবপুর প্রেস ক্লাবে সভাপতি সৈয়দ মো. খোরশেদ আলম, রায়পুরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম নুর উদ্দিন সহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন শেষে প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক নরসিংদীর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম এর সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানায়।
এসময় সাংবাদিক হত্যা চেষ্টার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম।
উল্লেখ্য, রায়পুরায় বিভিন্ন স্থানে মানুষের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করাসহ রায়পুরা উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করে রুবেল ও তার লোকেরা। এমন বহু সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিক মনিরুজ্জামান শ্রীরামপুর বাজারে গেলে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়ার হত্যা মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী আবিদ হাসান রুবেল ও তার ছোট ভাই টুটুল সহ প্রায় ১০ জনের একটি দল পায়ে ও হাতে ৫ রাউন্ড গুলি ও মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় । বর্তমানে তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।