সুমন পাল, প্রতিনিধিঃ
গরুর আঘাতে আহত হয়ে কোর্টে মারামারীর মামলা দিয়ে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর এক চাঞ্চল্যকর সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার অন্তর্গত পাচঁদোনা ইউনিয়নের আসমান্দিরচর গ্রামে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী আসমান্দিরচর গ্রামের মৃত:ছাত্তার মিয়ার পুত্র আলতাফ হোসেন জানান, পার্শ্ববর্তী কামারচর গ্রামের জয়নালের নিকট থেকে ১৯৮৫ইং সালে তার পিতা মৃত আঃ ছাত্তার সাবকবলায় দলিল মূলে সাড়ে সাত শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরে তিনি মৃত্যু বরন করলে তার ওয়ারিশদের জমিটি বুঝিয়ে না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন, এ ব্যাপারে জমির মালিক কয়েক দফা গ্রাম্য শালিশ বসালেও জয়নাল মিয়া ও তার সন্তানরা জমি বুঝিয়ে না দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আলতাফ হোসেন ও তার ভাইদের হয়রানী করতে থাকে । বিগত সময় এ বিষয় নিয়ে আলতাফ হোসেন ও তার ওয়ারিশরা স্থানীয় পাঁচদোনা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গত ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ ইং সালে ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা এক শালিসে বসে উভয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জমির ক্রয়সুত্রে মালিক মৃত ছাত্তারের পুত্র আলতাফ হোসেন গংদের বরাবরে ৭.৫০ শতাংশ জমি পরিমাপ করে মালিকদের বুঝিয়ে দেয়। পরে জমির মালিক জমিতে গাইডওয়াল করতে গেলে পূনরায় তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে জয়নাল বাদী হয়ে নরসিংদী কোর্টে ১৪৫ধারায় মামলা দায়ের করে। এ মামলার রায়ও আলতাফ হোসেন গংদের পক্ষে গেলে জয়নাল ও তার সন্তানরা আলতাফ হোসেন গংদের উপর আরো ক্ষিপ্ত হন। এরই জেরধরে গত ২২ আগষ্ট সকালে জয়নাল মিয়া নিজ পালিত গভাদি পশুর পরির্চযা করতে গেলে একটি গরু তার কপালে লাথি মারে এতে তিনি আহত হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে প্রতিপক্ষ আলতাফ হোসেন গংদের নাজেহাল করার উদ্দেশ্যে নরসিংদী কোর্টে গিয়ে আলতাফ হোসেন সহ তার ৫ ভাইয়ের বিরুদ্ধে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে জয়নালের ছেলে মোস্তাক বাদী হয়ে মারামারির মামলা দায়ের করে। বিষয়টি কিছুদিন গোপন থাকলে গত ৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে কোর্টে করা মামলাটির তদন্তে আসে নরসিংদী ডিবি পুলিশ। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকায় চাপা ক্ষোভ দেখা দেয়। জয়নাল গরুর আঘাতে আহত হয়েছে এমনটাই বলছেন স্থানীয় আনোয়ার হোসেন, আমজাদ হোসেন ও ভোক্তভোগী আলতাফ হোসেন। এ ছাড়াও স্থানীয় ভাবে অনেকেই বলেছেন শুধু জমি জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে গরুর আঘাত কে পুজি করে এ মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছেন, এতে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কাইউম ফরাজী, পাঁচদোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাছুম বিল্লাহ ও পাঁচদোনা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা সবাই জানান, আমরা গত ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ইং তারিখে শালিশের মাধ্যমে উভয় পক্ষের সম্মতিতে জমির সঠিক মালিক আলতাফ হোসেনদের নিকট জমি মেপে বুঝিয়ে দিয়েছি তার পরও প্রতিপক্ষ জয়নাল ও তার সন্তানরা আইন অমান্য করে প্রতিপক্ষ আলতাফ হোসেন গংদের ফাঁসানোর জন্য এসব এহেন কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এসব মিথ্যা মমলার তীব্র নিন্দা জানাই, পাশাপাশি ভোক্তভোগী আলতাফ হোসেন গংরা যাতে ন্যায় বিচার পান সেটাও প্রত্যাশা করি।