মোঃ নুর আলম: নরসিংদীর মাধবদীতে প্রেমের বিয়ের ৫ মাসের মাথায় স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে স্বামী ফাহিমের (২২) আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনার ৭ দিন পর ছেলের পরিবার নিহত ছেলের স্ত্রী, ছেলের বন্ধু ও শশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মাধবদী থানার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় মাধবদী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নিহত ফাহিমা প্রায় ০৫ মাস পূর্বে মাধবদী থানাধীন ভগিরথপুর গ্রামের হুমায়ন কবিরের মেয়ে উর্বির সাথে পরিবারের অমতে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের ছেলে পক্ষ তা মেনে নিলেও মেয়ে পক্ষ তা মেনে নেয়নি। পরে তারা মাধবদীর দড়িপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া-ঝামেলা চলে আসছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে তাদের মধ্যে সাংসারিক বিষয়াদি নিয়া ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে উর্বি চিৎকার করে ঘরের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে তার বন্ধু গোপাল কর্মকারের সহায়তা নিয়ে এক আত্মীয়র বাড়ি চলে আসে।
পরবর্তীতে ফাহিম ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়ীর মালিক এর সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় বসত ঘরের ফ্যানের হুকের সাথে গামছা প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।
এ ঘটনায় মামলা হলে মামলার প্রধান ২ আসমীর মধ্যে গোপাল কর্মকারকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উর্বির পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঝগড়ার পর সে বাসা থেকে চলে আসে তার আত্মীয় বাসায়। এরপর কি হয়েছে উর্বি তা জানে না। পরে মৃত্যুর ৬ ঘন্টা পর উর্বি ফেসবুকে ছবি দেখে জানতে পারে।