সুমন পাল, মাধবদী ঃ
নরসিংদীর মাধবদী থানা এলাকার আনন্দী গ্রামে জমি ভাগাভাগি নিয়ে চারজন আহতের ঘটনা ঘটেছে। নরসিংদী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ২ মে রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় আসামী হৃদয় বাদী হাজী মোঃ জাহাঙ্গীর এর বাড়ির ভাড়াটিয়াকে মারপিট করে হাতে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনা হৃদয়ের পিতা মোঃ জামাল মিয়াকে জানালে ৩রা মে হৃদয় পুনরায় জাহাঙ্গীরের বাড়িতে এসে পানির লাইন কেটে ফেলে এসময় বাধা দিতে চাইলে দা দিয়ে কোপ দেওয়ার জন্য উদ্যত হয় হৃদয়। পরদিন ৪মে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে আসামি ছানি মিয়া(২৮), মোঃ জুয়েল(৩০), শান্ত মিয়া(২৫), মেহেদি মিয়া(২০) উভয় পিতা মকবুল মিয়া, হৃদয় মিয়া(২৮), অন্তর মিয়া(২২) উভয় পিতা মোঃ জামাল মিয়া, জামাল মিয়া(৫০) পিতা মৃত ইউনুস মিয়া, মোসাঃ নিগার সুলতানা মিতা(৪৯) স্বামী মকবুল হোসেন, মকবুল হোসেন(৫৫) পিতা মৃত সুরুজ মিয়া, খাদিজা বেগম(৪৮) স্বামী জামাল মিয়া দলবলে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকলে মোসাঃ নাসিমা বেগম ও রুমা বেগম গালাগালি করতে নিষেধ করলে এলোপাথারী মারপিট করে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে নিলাফুলা জখম করে ও শ্লীলতাহানী ঘটায়। এসময় লোহার পাইপ দিয়ে রুমা বেগমকে মাথায় বাড়ি দিলে রক্তাক্ত জখম হয়। জাহাঙ্গীরের মেয়ে মিম আক্তার (১৪) ও আছমা বেগম(৩৬) বাধা দিতে গেলে তাদের কেও মারপিট করে নিলাফুলা জখম করা হয়। ঘটনার সময় আহতদের সাথে থাকা স্বর্নের চেইন ও কানের দোল এবং বাড়ীঘর ভাংচুর করে আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। জাহাঙ্গীর জানান, মাধবদী থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরবর্তীতে আমি ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতে মামলা দায়ের করি।