সুমন পালঃ হাজারো গ্রাহকের জমানো আমানতের টাকা নিয়ে মাধবদী শাখা ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজেদের আখের খুচিয়ে রাতারাতি বাড়ি গাড়ী করে ভনে গেছে বিত্তশালী। অপরদিকে দরিদ্র আমানতকারীরা তাদের আমানতের টাকা ফেরত পেতে তাদের অফিসে ঘুরে ঘুরে দিশেহারা। এরই মধ্যে অনেকে জমানো টাকা ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে। পলাশ, মাধবদী, ডাঙ্গা, ঘোড়াশাল এবং পাঁচদোনা অফিস নিয়ে নরসিংদী জেলা সার্ভিস সেন্টার পরিচালিত হয়। মাধবদী শাখা অফিস ২৩বছর যাবত গ্রাহকের টাকা নিয়ে এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে। গত কয়েকদিন আগে শতাধিক গ্রাহক তাদের আমানতের টাকা ফেরত পেতে মাধবদী শাখা অফিস ঘেরাও করলে উপস্থিত গ্রাহকদের উপর অফিসের কর্মকর্তাগণ ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করতে উত্তেজিত হয়। পরে উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত হলে গ্রাহকদের টাকা এক মাসের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানীর কর্মকর্তাগণ । উপস্থিত ভোক্তভোগী গ্রাহকরা জানায়, তারা এমন করে আমাদেরকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দেই দিচ্ছি বলে ঘুড়াচ্ছে। আমরা ইনসুরেন্সের কিস্তির টাকা জমা দিলেও তারা ঠিকমত কিস্তি জমা করে না। পরবর্তীতে মেয়াদ শেষে টাকা উত্তোলন করতে গেলে দেখা যায় কিস্তির সমন্বয় নেই। যার ফলে আমরা টাকা পাচ্ছি না। তারা হাজারো গ্রাহকের সাথে এমন আচরণ করছে। আমরা গরীব মানুষ, আমাদেরকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের টাকা মেরে খাওয়ার চেষ্টা করছে এ অফিসের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার। এ বিষয়ে মাধবদী শাখা অফিসের ক্যাশিয়ার শেখ মোঃ ওমর ফারুক বলেন আমি এখানে এসেছি এক বছর হয়েছে। টাকা হেরফেরের বিষয়ে ম্যানেজার সাব জানে। তার কথামত ম্যানেজার আরিফুর রহমান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নি। মাধবদী শাথা সাংগঠনিক অফিসের ভিসি মাওলানা ইউসুফ আলী ও কাজী কাউসার আলম, বিএম মো: আলমগীর হোসেন, ইন্সুরেন্সের সাধারণ গ্রাহকরা তাদের আমানতে টাকা ফেরত পেতে মাধবদী পৌরসভার মেয়র ও মাধবদী থানা পুলিশের সহযোগিতা কারনা করছে।
##