সুমন পাল, মাধবদী(নরসিংদী)প্রতিনিধি ঃ
কিসের ভুলে বিচার পাচ্ছে না অ্যাসিড দগ্ধ মুক্তা। কোন রহস্যের কারণে গ্রেপ্তার হচ্ছে না মামলার আসামী। কেন আজ এলাকাবাসী ও সচেতন মহল প্রশাসন ও আদালতের দিকে আঙ্গুল তুলছে। যেখানে আইনে বলা আছে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর সর্বনিন্ম শাস্তি যাবত জীবন ও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে গত ১৬/০৩/২০২২তারিখে মাধবদী থানায় ৪(২)(খ)২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩অনুয়ায়ী মামলা নং ১৫। অপরদিকে অ্যাসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল নরসিংদী ২০০২এর ৫(ক)/৭ ধারা অনুয়ায়ী ৮জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর এক মাস অতিবাহিত হতে চললেও এ পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামীদের হুমকির মুখে মানবেতর জীবন কাটাছে ভুক্তভোগী পরিবার। মামলায় আসামীরা হলো রোমান মিয়া(২৩) পিতা বাবুল মিয়া, জাকির মিয়া(৪৮) পিতা রেজেক বেপারী, বাবুল মিয়া(৪৬) পিতা চান মিয়া, বাকির মিয়া(৪৮)পিতা আকবর, আলী হোসেন(৫৫) পিতা হাছুন্না, ওয়াছকরনী(৩২) পিতা আলি হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক(৩৫) পিতা মৃত মোহর আলী। মাধবদী থানা মামলা সূত্রে জানাযায়, মহিষাশুড়া ইউনিয়নের নগর বানিয়াদী গ্রামে বিগত দুই বছর পূর্বে একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে মুক্তা আক্তার(১৯) এর সাথে একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রোমান মিয়া(২৩) এর বিবাহ হয়। বিয়ের ৬মাস যেতেই রোমান তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করে এবং ৫মাস পূর্বে আদালতের মাধ্যমে তালাক নামা প্রদান করে। এর প্রেক্ষিতে মুক্তা বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রোমানের বিরোদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় রোমান ১মাস জেল হাজতে থেকে জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। ঘটনার দিন ১৪মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাহিরে মুক্তা বের হলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা রোমান তার হাতে থাকা দাহ্য পদার্থ (অ্যাসিড) মুক্তার পিঠে নিক্ষেপ করে, এতে মুক্তার পিঠের একাংশ ঝলসে যায়। মুক্তার ডাকচিৎকারে তার মা,বাবা ও প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে মুক্তা অ্যাসিড পুড়ার অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। একটু ন্যায় বিচারের আশায় প্রশাসন ও আদালতের দরজায় ঘুরছে মুক্তা ও তার পরিবার।